গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে দু’জনেই চিকিৎসাধীন। তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে দু’জনেরই। সেই কারণে তাঁদের অস্ত্রোপচার সফল হলেও এখনও বিপদ কাটেনি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
গৌড়বঙ্গের গণিত বিভাগের ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ঢুকে আচমকা কোপাতে শুরু করেন যুবক। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে নিজের গলাতেও কোপ মারছিলেন তিনি। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের রাখা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের স্বরনালিতে গভীর ক্ষত রয়েছে। শরীর থেকে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই সঙ্কটে রয়েছেন দু’জনেই। তবে ছাত্রীর চেয়ে যুবকের অবস্থা বেশি খারাপ বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শল্য চিকিৎসক গণেশচন্দ্র গাইনের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল দু’জনকে দেখছে। বৃহস্পতিবারই করা হয়েছে অস্ত্রোপচার। স্বরনালিতে ক্ষত থাকায় দু’জনের কেউ কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৩৬ ঘণ্টা না কাটলে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এখনও তাঁরা বিপন্মুক্ত নন।
আক্রান্ত ছাত্রী অসম থেকে গৌড়বঙ্গে পড়তে এসেছিলেন। হামলাকারী ছাত্র ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। কী কারণে এই হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দু’জনের কারও বয়ান রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি এখনও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে আক্রমণ করার পর তাড়া খেয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন যুবক। সেখানে গিয়েও নিজের গলায় একাধিক কোপ মারেন। সেই কারণেই তাঁর ক্ষত তুলনামূলক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, দু’জনের মধ্যে আগে থেকে কোনও সম্পর্ক ছিল। তবে এখনই এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy