Advertisement
০৪ মে ২০২৪
NASA

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু ‘বেন্নু’র বুক খুঁড়ে পাথর-ধুলো নিয়ে ফিরল নাসার মহাকাশযান

দেড়শো বছর পর যার ধাক্কায় সাড়ে সর্বনাশের ভয়ে আপাতত থরহরিকম্প মানবসভ্যতা, সেই গ্রহাণু (অ্যাস্টারয়েড) ‘বেন্নু’র মুলুক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনল নাসা।

ভারতীয় সময় রবিবার রাত ৮টা ২২ মিনিটে আমেরিকার উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করে রিটার্ন ক্যাপসুলটি।

ভারতীয় সময় রবিবার রাত ৮টা ২২ মিনিটে আমেরিকার উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করে রিটার্ন ক্যাপসুলটি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৬
Share: Save:

দেড়শো বছর পর যার ধাক্কায় সাড়ে সর্বনাশের ভয়ে আপাতত থরহরিকম্প মানবসভ্যতা, সেই গ্রহাণু (অ্যাস্টারয়েড) ‘বেন্নু’র মুলুক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনল নাসা। ভারতীয় সময় রবিবার রাত ৮টা ২২ মিনিটে আমেরিকার উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করে রিটার্ন ক্যাপসুলটি। কার্বন সমৃদ্ধ বেন্নুতে এক সময় জলের খোঁজ পেয়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’। সেই মহাকাশযানের রিটার্ন ক্যাপসুলটি এ বার বেন্নুর বুক থেকে খুঁড়ে আনা ২৫০ গ্রাম নুড়ি-পাথর নিয়ে এল পৃথিবীতে।

নাসা জানিয়েছে, মহকাশে এই প্রথম কোনও গ্রহাণু থেকে এত বেশি পরিমাণে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে জাপানও দু’-দু’বার মহাকাশের গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তার পরিমাণ বেন্নু-অভিযানের ধারেকাছে নেই।

বেন্নু খুবই অন্ধকার গ্রহাণু। সূর্যের আলোর ৩০ শতাংশ প্রতিফলিত হয় পৃথিবী থেকে। বেন্নু থেকে হয় মাত্র ৪ শতাংশ। ফলে এটাকে দেখা বেশ শক্ত কাজ। পৃথিবী থেকে ২৯.৩ কোটি কিলোমিটার দূরের এই অন্ধকার কালো গ্রহাণুটির খোঁজ মিলেছিল ১৯৯৯ সালে। কী আছে এতে, ভাল করে জানার জন্য ‘ওসিরিস-রেক্স’ নামের যান পাঠিয়েছিল নাসা। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সেটি বেন্নুতে খোঁড়াখুঁড়ি চালায়। সংগ্রহ করে প্রচুর পাথর-ধুলোর নমুনা। সেই নমুনাই পৃথিবীতে নিয়ে আসা হল।

বিজ্ঞানীরা বলেন, ২১৩৫ সালে পৃথিবীর উপর প্রায় হামলে পড়ার মতো দশা হবে আকারে পাঁচটি ফুটবল মাঠের সমান গ্রহাণু বেন্নুর। চওড়ায় যা এক হাজার ৬০০ ফুট। বা, ৪৯২ মিটার। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়বে আমাদের খুব কাছাকাছি। অত কাছে এসে পড়ার ফলে পৃথিবীর অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টান অনেকটাই বাঁকিয়েচুরিয়ে দেবে গ্রহাণু বেন্নুর কক্ষপথকে। তারই জেরে আগামী শতাব্দীর শেষাশেষি বেন্নু খুব জোরে ধেয়ে এসে সরাসরি ধাক্কা মারতে পারে পৃথিবীকে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, বহু কোটি কোটি বছর আগে যে ভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসররা, বেন্নুর ধাক্কায় তেমন দশাই হতে পারে আমাদের! নাসার লক্ষ্য, আগামী শতাব্দীতে যখন পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়বে বেন্নু, তখন যে ভাবে সম্ভব তার কক্ষপথ কিছুটা ঘুরিয়ে দিতে। বা, তাকে টুকরো করে দিতে। যাতে বেন্নু আগামী শতাব্দীর শেষাশেষি ধেয়ে এসে ধাক্কা না মারতে পারে পৃথিবীকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NASA Asteroid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE