নরেন্দ্র মোদীর পথে হেঁটেছিলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। মোদী যেমন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিলেন, সে দেশে তেমনি বাতিল হয়েছিল ১০০ বলিভার নোট। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের যুক্তি, বেআইনি অর্থের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই পদক্ষেপ।
কিন্তু নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই সে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। পুরনো নোট বদল করতে ব্যাঙ্কগুলিতে লম্বা লাইন। ছবিটা একেবারে ভারতের মতোই। নোট-আকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগানের অভাবে দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় লুঠপাট। বিক্ষোভকারীরা জায়গায় জায়গায় রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। চরম অব্যবস্থার মধ্যেই দেশের মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে যেতে বাধ্য করতে চাইছিলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এতে বিক্ষোভ বেড়ে যায় আরও। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরনো নোটই চালু রেখেছেন প্রেসিডেন্ট। চাপে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
তবে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে দেশে বিকল্প ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। রেডিওয় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, এই ষড়যন্ত্রের কারণেই ঠিক সময়ে ৫০০ বলিভার নোট মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়নি। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পিছনেও বিদেশের মাটিতে বেআইনি ভাবে নোট মজুত করার ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy