Advertisement
০১ মে ২০২৪
International

ফের চূড়ান্ত প্ররোচনা, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীন কাশ্মীরের ডাক পাক দূতের

নিজেদের স্বাধীনতা দিবসে আরও প্ররোচনার পথে হাঁটল পাকিস্তান। ভোর থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হল মর্টার হামলা। তাতেই শেষ নয়। ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত নয়াদিল্লি থেকেই ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’র আওয়াজ তুললেন রবিবার। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা’র প্রতি উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করলেন।

পাক হাইকমিশনারের প্ররোচনামূলক মন্তব্যকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না দিল্লি। —ফাইল চিত্র।

পাক হাইকমিশনারের প্ররোচনামূলক মন্তব্যকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না দিল্লি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ১৪:৩০
Share: Save:

নিজেদের স্বাধীনতা দিবসে আরও প্ররোচনার পথে হাঁটল পাকিস্তান। ভোর থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হল মর্টার হামলা। তাতেই শেষ নয়। ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত নয়াদিল্লি থেকেই ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’র আওয়াজ তুললেন রবিবার। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা’র প্রতি উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করলেন।

দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের তরফে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ভারত সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেয়নি ঠিকই। কিন্তু নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা এবং সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হলে, সন্ত্রাসবাদই আলোচনার মূল ইস্যু হবে। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়াই সবচেয়ে জরুরি। এর বাইরে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভারত এখন আগ্রাহী নয় বলেও সুষমা সাফ জানান।

হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যে চূড়ান্ত প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলে চলেছে, তাতে ভারতের অসন্তোষ যে তীব্র, তা প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগেই। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে শুক্রবার যে সর্বদলীয় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ। সেখানে পাকিস্তান তীব্র অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে সব লোকজন পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারের পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করা হোক, বিদেশ মন্ত্রককে এমনই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ কী নিদারুণ করুণ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন, তা গোটা বিশ্বকে জানানোর জন্যও বিদেশ মন্ত্রককে উদ্যোগী হতে বলেন মোদী। তার পরের দিনই পাকিস্তানের তরফে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু নয়াদিল্লির বক্তব্য, পাকিস্তান আলোচনায় বসতে চাইলে আগে সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা করুক। সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে যে সন্ত্রাস রফতানি করছে ভারত, নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কে সেটাই মূল ইস্যু।

আরও পড়ুন: রকেট লঞ্চার পাঠিয়ে মারাত্মক ভুল করল ভিয়েতনাম: হুঙ্কার চিনের

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান দেখে ইসলামাবাদ বুঝে গিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাবে নয়াদিল্লি কোনও আগ্রহই দেখাবে না। তাই আবার প্ররোচনার রাস্তায় হাঁটা শুরু করল ইসলামাবাদ। ১৪ অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। নিজেদের স্বাধীনতা উদযাপনের ভোরেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে কাশ্মীরে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে তারা। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পাকিস্তানের দিক থেকে এই হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু হয় নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাক সেনার ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে। তার পরই আসে পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিতের মন্তব্য। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানানোর ফাঁকে বাসিত বলেন, ‘‘আমাদের এই স্বাধীনতা দিবসকে আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ নিজেদের স্বাধীনতা দিবসে, তথা ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বাসিতের এই মন্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান ফের বোজাতে চাইল, কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করাই আপাতত ইসলামাবাদের মূল লক্ষ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE