—প্রতীকী চিত্র।
কখনও অন্য ব্যক্তির নামে, কখনও ভুয়ো নথি দেখিয়ে মোবাইল সিম তোলা হচ্ছে রাজ্য থেকে। সিম থেকে যাচ্ছে এ দেশে। শুধু নম্বর বলে দেওয়া হচ্ছে বিদেশিকে।
তিনি বিদেশে বসে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করার সময়ে সেই ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করছেন। এ দিকে সেই সিম মোবাইলে ভরে তা অ্যাক্টিভেট বা সক্রিয় করা থাকছে এ রাজ্যে। বিদেশি যখন হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করছেন তখন ওটিপি আসছে রাজ্যে থাকা ব্যক্তির কাছে। তিনি ওটিপি পেয়ে তা জানিয়ে দিচ্ছেন বিদেশিকে। আর বিদেশি সেখানে বসে দিব্যি ভারতীয় নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে চলেছেন। এ ভাবে ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে বিদেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, এ ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইলে নজরদারি করে তাঁকে ধরা সম্ভব নয়। যাঁর কাছে সিম, তিনি ভুয়ো নথি দেখিয়ে সিম নেওয়ায় তাঁকেও ধরা মুশকিল।
সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) জেনেছিল, মুর্শিদাবাদের একটি দোকান থেকে ঘন ঘন মোবাইল সিম কিনে তা সক্রিয় করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই এসটিএফ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথি দিয়ে তোলা সিমের নম্বর বিদেশে পাচার করা একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদাবাদ এবং হুগলির বিভিন্ন জায়গা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কয়েকশো সক্রিয় সিম, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্র, মোবাইল এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধের ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতির ধারায় মুর্শিদাবাদ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এসটিএফের পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে বিদেশে হোয়াটসঅ্যাপের ওটিপি পাঠানো হত। তার পর বিদেশে বসে ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহার করে এই দেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হত। যেহেতু এই ধরনের নম্বর ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের নামও উঠে এসেছে, তাই এ ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে গোয়েন্দাদের মত। এর আগে এ রাজ্য থেকে ধৃত এক যুবক হোয়াটসঅ্যাপের ওটিপি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার লোককে পাঠিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রথমে মুর্শিদাবাদের সিম বিক্রেতা আস্তক মণ্ডল (২০)-এর খোঁজ মেলে। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ভুয়ো নথি দিয়ে ওই সিম তোলা হচ্ছে এবং সেই সিমের তথ্য বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। রবিবার আস্তককে ধরে জেরা করে আরও ৮ জনকে ধরা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy