পোপ ফ্রান্সিস।
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে খুব বড় ভুল হয়ে গিয়েছে বলে মেনে নিলেন পোপ ফ্রান্সিস। যৌন নিগ্রহের শিকার যারা, তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে ভ্যাটিকানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। যদিও ক্ষতিগ্রস্তদের সম্মানহানি হয়েছিল তাঁর হাতেই, স্বীকার করেছেন পোপ। তবে এ ঘটনায় তাঁর সম্মানেও আঁচ লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে ভ্যাটিকানের অন্দরে।
ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে আগামী সপ্তাহে এক জরুরি সম্মেলনে পোপ তলব করেছেন চিলির সব বিশপকে। ভ্যাটিকান সূত্রে খবর, এ ধরনের বিশেষ তলব খুব ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। চিলির রেভারেন্ড ফার্নান্দো কারাদিমার ঘনিষ্ঠ বিশপ জুয়ান বারোসকে কয়েক বছর আগে পোপ দক্ষিণ চিলির অসর্নোর বিশপ পদে নিয়োগ করেছিলেন। তখন থেকেই সমালোচনার ঝ়ড় ওঠে। কারণ নাবালকদের উপরে ধারাবাহিক ভাবে যৌন নিগ্রহ চালানোর অভিযোগ ছিল রেভারেন্ড ফার্নান্দোর বিরুদ্ধে। আর বিশপ জুয়ান সেই অভিযোগ চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কখনও আবার তিনি নিজে নাবালক-নিগ্রহ করেছেন বলেও দাবি। কারাদিমা ২০১১ সালে দোষী সাব্যস্ত হন।
কিন্তু গত জানুয়ারিতে চিলি সফরে গিয়ে বিশপ বারোসের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল পোপকে। সে বার অভিযোগকারীদের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন পোপ। বলেছিলেন, মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে বারোসের বিরুদ্ধে। তিনি নিশ্চিত, বিশপ নিরপরাধ। এখন পোপের উপলব্ধি, বারোসের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল ‘সত্য তথ্যের অভাবে।’ পোপের আগের মন্তব্য নিয়ে তীব্র আপত্তি ওঠায় যৌন নিগ্রহের তদন্তের ক্ষেত্রে ভ্যাটিকানের নির্ভরযোগ্য সদস্য আর্চবিশপ চার্লস সিক্লুনাকে পাঠানো হয় চিলিতে। পোপেরই নির্দেশে। দু’সপ্তাহ চিলিতে থেকে নিগৃহীতদের সঙ্গে বিশদে কথা বলেন সিক্লুনা। কারাদিমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগকারীরা বারোসের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy