E-Paper

ক্ষমাপ্রার্থী হার্ভার্ড-প্রধান, হুঁশিয়ারির মুখে ইউপেন

ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোনও কোনও অংশে ইহুদি-বিদ্বেষের বীজ নতুন করে ছড়াতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫২
An image of Harvard University

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

ক্ষমাই চেয়ে নিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্লডিন গে। পড়ুয়াদের একাংশের পক্ষ থেকে ইহুদি গণহত্যার ডাক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থা ও হয়রানির পরিবেশ তৈরি করেছে, সে কথা আরও স্পষ্ট করে বলা উচিত ছিল বলে মেনে নিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার কথা জানান।

ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোনও কোনও অংশে ইহুদি-বিদ্বেষের বীজ নতুন করে ছড়াতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমেরিকান কংগ্রেসে মঙ্গলবার ক্লডিনের সঙ্গে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লিজ় ম্যাগিল এবং এমআইটি-র স্যালি কর্নব্লাথকে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ইহুদি গণহত্যার ডাক দিলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিভঙ্গ করে কি না। উত্তরে ক্লডিন সরাসরি ‘হ্যাঁ’ না-বলে বলেন, ‘‘বিষয়টা পরিপ্রেক্ষিতের উপরে নির্ভর করে।’’

ক্লডিনের এই উত্তর আমেরিকার ইহুদি সংগঠনগুলো মোটেই ভাল ভাবে নেয়নি। হার্ভার্ডের পড়ুয়াদের নিজস্ব সংবাদপত্র হার্ভার্ড ক্রিমসনে পরে ক্লডিন বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত। বলা কথা যখন যন্ত্রণা বাড়ায়, তখন অনুতাপ ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।’’ ইহুদি-বিদ্বেষ রুখতে কর্তৃপক্ষ কী কী করছেন, কংগ্রেসে সে কথাই তিনি বিশদে বলতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্লডিন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি বিদ্বেষের যে কোনও জায়গা নেই, সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি’’, মেনে নিয়েছেন ক্লডিন।

ক্লডিন অবশ্য একা নন। ঝামেলায় পড়েছেন পেনসিলভানিয়ার (ইউপেন) ম্যাগিলও। তিনিও কংগ্রেসে স্পষ্ট করে বলেননি, অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে কি না। তার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এক ব্যবসায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর অনুদান প্রত্যাহার করে নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ওই ব্যক্তি, রস স্টিফেন্স নিজে স্টোন রিজ অ্যাসেটস নামে একটি বাণিজ্য-সংস্থার সিইও। তিনি ১০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে। তিনি এখন সেটা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের পিছনে ‘নির্দিষ্ট ভিত্তি’ আছে। ম্যাগিলের অপসারণের দাবিও তুলেছেন তিনি। তাঁর সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘অনুদানদাতাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা মন্তব্য করতে পারি না।’’


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Harvard University Apology Controversy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy