ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য নিঃশর্ত আলোচনায় রাজি পাকিস্তান। খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানের মিডিয়ায় তেমনই রিপোর্ট। কোনও সাধারণ আলোচনা সভা বা সাংবাদিক বৈঠকে নয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে শরিফ শনিবার এই আশ্বাস দিয়েছেন।
কমনওয়েলথ দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মলনে যোগ দিতে এখন মাল্টায় নওয়াজ শরিফ। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই শরিফ-ক্যামেরনের একান্ত বৈঠক হয়েছে। পাক মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বৈঠকে ডেভিড ক্যামেরন ভারত-পাক সুসম্পর্কের উপর জোর দেন। নওয়াজ তার প্রেক্ষিতেই ক্যামেরনকে বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। কোনও রকম পূর্বশর্ত ছাড়াই তিনি আলোচনায় বসতে তৈরি বলেও নওয়াজ শরিফ ক্যামেরনকে আশ্বস্ত করছেন। ভারত, আফগানিস্তান-সহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গেই পাকিস্তান সুসম্পর্ক চায় বলে নওয়াজ ক্যামেরনকে জানিয়েছেন।
ভারত-পাক সীমান্ত জুড়ে পরিস্থিতি এখন নজিরবিহীন ভাবে উত্তপ্ত। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন, গুলিগোলা বিনিময় রোজকার ঘটনা। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টাও বেড়ে গিয়েছে বলে বিএসএফ জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নওয়াজ ভারত-পাক সুসম্পর্কের উপর এত জোর দিচ্ছেন কেন? সত্যিই যদি সুসম্পর্ক চান, তা হলে তো ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ আর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধের উপরই জোর দেওয়া উচিত। তা না করে তৃতীয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নওয়াজ বলছেন তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতার একাধিক কেন্দ্র থাকায় সীমান্তে শান্তি আনা বা পাকিস্তানের মাটিতে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত আটকানোর ক্ষমতা পুরোপুরি নওয়াজের হাতে নেই। কিন্তু, জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করার জন্য নওয়াজ শরিফের উপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। প্যারিসে হামলার পর থেকে সেই চাপ আরও বেড়েছে। তার জেরেই ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকে নওয়াজকে কথা দিতে হয়েছে, তিনি ভারতের সঙ্গে নিঃশর্তে আলোচনায় বসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy