ফের সংঘর্ষ-বিরতি ভাঙার অভিযোগ। আর তার জেরেই পূর্ব আলেপ্পো থেকে সাধারণ নাগরিক ও বিদ্রোহীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সাময়িক ভাবে আটকে দিল বাসার আল আসাদের সরকার।
সূত্রের খবর, আজ সকালে উদ্ধার-অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধারকারীদের বাস লক্ষ করে গুলি চালায় বিদ্রোহীরা। পূর্ব আলেপ্পো থেকে সাধারণ মানুষকে ইদলিব প্রদেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই বাসগুলি করে। অভিযোগ, কয়েক জনকে পণবন্দি করারও চেষ্টা করে বিদ্রোহীরা। তার পর পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখেই উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে দেয় সরকার। যদিও বিদ্রোহীদের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে সরকারি বাহিনীই। রাশিয়া ও ইরানের মদতপুষ্ট বাসার অাল-আসাদ সরকারের সেনা আলেপ্পোয় ঢোকার পরে তাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল গণহত্যার অভিযোগ। এখনও পরোক্ষে তারা তেমনটাই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়দেরও একাংশ। আলেপ্পোর বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে আজ আবার আসাদ-সরকারকেই এক হাত নিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। রাশিয়া-সমর্থিত সিরিয়াকে ফের শান্তিবৈঠকের টেবিলে বসাতে চাইছে ওয়াশিংটন।
কিন্তু আসাদের তরফে তাতে বিশেষ সাড়া নেই বলেই অভিযোগ আমেরিকার।
বিদ্রোহীদের একটা বড় অংশ আত্মসমর্পণে রাজি হওয়ায় গত কাল ভোর থেকেই পূর্ব আলেপ্পো ছাড়ার কথা ছিল সেখানে আটকে পড়া ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের। দফায় দফায় নিরাপদ এলাকায় পৌঁছেছেন হাজার ছয়েক মানুষ।
কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, এখনও হাজার হাজার বাসিন্দা আটকে রয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটির বিভিন্ন গ্রামে। উদ্ধার-প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, রুশ সেনার নির্দেশে শুক্রবার সকাল থেকেই আহত ও অসুস্থদের উদ্ধার বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ফের কবে তা শুরু হবে, তা স্পষ্ট হয়নি এ দিন।
আলেপ্পোর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এ দিনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাজনৈতিক সমাধানে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি কার্যকর না হলে ইদলিবও আলেপ্পোর চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা কূটনীতিক শিবিরের একাংশের।