Advertisement
E-Paper

হামলার পরে কড়াকড়ি শুরু তিউনিসিয়া, কুয়েতে

হামলার পরেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করল তিউনিসিয়া। পর্যটকদের দর্শনীয় জায়গাগুলিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় একই ভাবে সক্রিয় হয়েছে কুয়েত সরকারও। ফ্রান্সেও নিরাপত্তার কড়াকড়ির সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৫ ১৮:২৪
জঙ্গি হামলার পর ফরাসি পুলিশের প্রহরা। ছবি: এএফপি।

জঙ্গি হামলার পর ফরাসি পুলিশের প্রহরা। ছবি: এএফপি।

তিউনিসিয়া, কুয়েতের পরে এ বার তাইওয়ানের এক বিনোদন পার্কে বিস্ফোরণে আহত হলেন প্রায় ২০০ জন। বিস্ফোরণের কারণ জানা না গেলেও অনুমান করা হচ্ছে, এর পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে।

হামলার পরেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করল তিউনিসিয়া। পর্যটকদের দর্শনীয় জায়গাগুলিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় একই ভাবে সক্রিয় হয়েছে কুয়েত সরকারও। ফ্রান্সেও নিরাপত্তার কড়াকড়ির সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

তিউনিসিয়ার অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপরে নির্ভরশীল। তিউনিশিয়ার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি)-র প্রায় ১৫.২ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। গত বছর তিউনিসিয়ায় ঘুরতে এসেছিলেন প্রায় ৬১ লক্ষ পর্যটক। চার লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ফলে শুক্রবার সুসে-র হা‌মলার পরেই তড়িঘড়ি জরুরি ব্যবস্থা নেয় তিউনিসিয়া সরকার। প্রথমেই নানা দর্শনীয় জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়। উগ্র মৌলবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ৮০টির বেশি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে রাজধানী তিউনিসের বারদো মিউজিয়ামে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সেই হামলায় ২২ জন পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। তাই এই কড়াকড়িও পর্যটকদের বড় অংশকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। পর্যটকদের বড় অংশ তিউনিসিয়া ছাড়তে শুরু করেছেন।

শুক্রবারের হামলায় তিউনিসিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশ ব্রিটিশ। এ ছাড়া বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, জার্মানির বাসিন্দারাও আছেন। নিহত হয়েছে সন্ত্রাসবাদী সইফুদ্দিন রেজগুই। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এরই পাশাপাশি, কুয়েতের ইমাম সাদিক মসজিদে হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আইএস জানিয়েছে, সৌদি আরব, ইয়েমেনের পরে শিয়া মসজিদের উপরে এটা তাদের তৃতীয় আক্রমণ। কুয়েতে সুন্নিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বেশ বড় অংশের শিয়ার বাস। শিয়াদের উপরে আবার আক্রমণ হবে বলেও আইএস হুমকি দিয়েছে। ঘটনার পরে কুয়েত সরকার নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে।

Terror attack Tunisia France Kuwait blast
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy