বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাইল্যান্ডের জনপ্রিয় ‘টাইগার টেম্পল’!
বেআইনি ভাবে প্রজনন, পাচার আর পশু নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ আগেই ছিল। এ বার তাইল্যান্ডের কাঞ্চাবুড়ি প্রদেশের ওই বৌদ্ধ মঠে মিলেছে চল্লিশটি বাঘছানার মৃতদেহ। আর তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। যদিও পাচার বা নির্যাতনের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, আইনি পদক্ষেপ মেনে মঠটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সেটি বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে।
ব্যাঙ্ককের পশ্চিম দিকে অবস্থিত ওয়াট ফা লুয়াং তা বু ইয়ান্নাসাম্পান্ন নামে ওই মঠে মানুষের সঙ্গেই থাকে ১৩৭টি বাঘ। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও। মঠের পোষ্যদের দেখতে বছর ভর সেখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে সোমবার থেকে তাইল্যান্ডের বন দফতর ‘ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কে’র (ডিএনপি) উদ্যোগে মঠ থেকে বাঘগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। অভিযানের শুরুতেই বাঘছানার দেহ উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই মঠটি বন্ধ করে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ডিএনপি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আদিসন নুচদামরং জানিয়েছেন, মঠের রান্নাঘরের একটি ফ্রিজার থেকে দেহগুলো মিলেছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিশ্চয়ই কোনও বিশ্বাস থেকে মঠে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে বাঘগুলোকে রাখা হতো। কিন্তু সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’’ বনকর্মীরা জানিয়েছেন, তিন দিনে তড়িঘড়ি ৫২টি বাঘকে সেখান থেকে সরিয়ে পশু-আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখনও মঠেই রয়েছে ৮৫টি বাঘ। চলতি সপ্তাহে তিনশোরও বেশি কর্মীর সাহায্যে বাঘগুলিকে সরানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে মঠ কর্তৃপক্ষ এই অভিযানে কোনও সহযোগিতা না করায় বাঘগুলোকে সরাতে আরও একটু বেশি সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন ডিএনপি-র এক শীর্ষকর্তা।