জখম এক চিত্র সাংবাদিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি/ ফাইল চিত্র।
সব জেনেবুঝেই গাজ়া সীমান্তে প্যালেস্তাইনি বিক্ষোভকারীদের উপরে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনী এবং এই কাজ হয়তো যুদ্ধাপরাধের সমান— এমনই রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্তকারী দল।
গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার কড়াকড়ি লঘু করা, গাজ়ার প্যালেস্তাইনি শরণার্থীদের অধিকারকে মান্যতা, তাঁদের পূর্বপুরুষের ভিটেতে ফিরতে দিতে হবে-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে গত মার্চ থেকে ইজ়রায়েল-গাজ়া সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন প্যালেস্তাইনিরা। তাঁদের উপরে ইজ়রায়েলি সেনা লাগাতার হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিশন গড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিল। আজ সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তদন্ত-রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, ১৮৯ জনকে হত্যা করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। সীমান্তে ৬,১০০ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, শিশু, বয়স্ক, এমনকি প্রতিবন্ধীদের উপরও গুলি চালিয়েছে ইজ়রায়েলি স্নাইপাররা। সেনার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ আছে।’’ সেনার হাতে নিহতের সংখ্যাও স্পষ্ট জানানো হয়েছে রিপোর্টে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৩৫টি শিশু, তিন জন প্রতিবন্ধী এবং দুই সাংবাদিক। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি উড়িয়ে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, রিপোর্ট অসত্য, আপত্তিকর এবং পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের বক্তব্য, আত্মরক্ষার জন্য তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।
পক্ষপাতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্যানেলের যুক্তি, সীমান্ত বরাবর ইজ়রায়েলের বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্যালেস্তাইনি বিক্ষোভকারীরাও হামলা চালিয়েছে। পাথর ছুড়েছে, এমনকি বোমাও ফেলেছে। কিন্তু তাকে ইজ়রায়েল যে ভাবে ‘সন্ত্রাস’ বলে চালাচ্ছে, তা মানা যায় না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘বিক্ষোভকারীরা একেবারেই সাধারণ নাগরিক।’’ রিপোর্টে এ-ও জানানো হয়েছে— ‘‘এই মানবাধিকার এবং মানবিকতা আইন লঙ্ঘনকে যুদ্ধাপরাধ কিংবা মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy