Advertisement
১৭ মে ২০২৪

মার্কিন মুলুকে নীরবে সংসার কিমের মাসির

দেশ ছেড়েছেন প্রায় দু’দশক। তার পর থেকে মার্কিন মুলুকই ঠিকানা কো-ইয়ং-সাকের। যদিও এই দীর্ঘ সময় নিজের আসল নাম বা পরিচয় গোপন রাখতে হয়েছে এই প্রৌঢ়াকে। আমেরিকার মাটিতে বসে তাই বেনামেই ড্রাই ক্লিনিংয়ের ব্যবসা চালান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মাসি কো-ইয়ং-সাক। সুইৎজারল্যান্ডে পড়তে যাওয়া বাড়ির ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দেখভাল করার জন্য পাঠানো হয় কো ইয়ং সাক এবং তাঁর স্বামীকে।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৬ ০৩:২৯
Share: Save:

দেশ ছেড়েছেন প্রায় দু’দশক। তার পর থেকে মার্কিন মুলুকই ঠিকানা কো-ইয়ং-সাকের। যদিও এই দীর্ঘ সময় নিজের আসল নাম বা পরিচয় গোপন রাখতে হয়েছে এই প্রৌঢ়াকে। আমেরিকার মাটিতে বসে তাই বেনামেই ড্রাই ক্লিনিংয়ের ব্যবসা চালান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মাসি কো-ইয়ং-সাক।

সুইৎজারল্যান্ডে পড়তে যাওয়া বাড়ির ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দেখভাল করার জন্য পাঠানো হয় কো ইয়ং সাক এবং তাঁর স্বামীকে। সম্প্রতি একটি মার্কিন দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন কো। ছোটবেলা থেকে মাসির তত্ত্বাবধানে ছিলেন কিম। স্কুলে পড়াকালীনও মাসির নজরদারিতেই থাকতেন উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক। মাসতুতো ভাইয়েরাও ছিল পিঠোপিঠি। নিজের ছেলের পাশাপাশি কিমেরও ডায়পার বদলে দিতেন মাসি। নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে নিজের বাড়িতে বসে কিমের ছেলেবেলার গল্প শোনাচ্ছিলেন কো। ‘‘ও যে খুব দুষ্টু ছিল তা নয়। তবে ছোটখাটো ব্যাপারেই খুব তাড়াতাড়ি রেগে যেত। একদমই ধৈর্য ছিল না।’’

শত্রুপক্ষকে চোখ রাঙিয়ে এখন কথায় কথায় যুদ্ধের হুঙ্কার দিলেও ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে মোটে বিবাদে যেতেন না খুদে কিম। তার বদলে অন্য ফন্দি এঁটে নিজের জেদ মতো কাজ করতেন তিনি। কী রকম? স্মৃতি হাতড়ে মাসি বলেন, ‘‘হয়তো পড়াশোনা না করে সারাদিন খেলার জন্য বকাবকি করলেন ওর মা। এর জবাবে মাকে পাল্টা একটি কথাও বলত না কিম। তার বদলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিত।’’ বোনপো’র সম্বন্ধে আরও একটি তথ্য দিয়েছেন মাসি। কিমের জন্ম ১৯৮২ বা ৮৩-তে নয়। ১৯৮৪-তে জন্ম উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের। একই বছরে জন্ম কো-এর ছেলেরও। বোন কো ইয়ং-হুই ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার নিজের ছেলের মতো করেই কিমের দেখভাল করেছেন কো।

‘‘জন্ম থেকে একসঙ্গে খেলাধুলো করেছে ওরা দু’জন’’, বললেন কো। কিমের আগ্রহ ছিল বাস্কেটবলে। বাস্কেটবল প্রীতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে এক সময় পাশে বল নিয়ে ঘুমোতে যেত কিম।

উত্তর কোরিয়ার ভাগ্য যে তাঁর হাতেই, তা কৈশোর না পেরোতে জেনে যান কিম। ১৯৯২ সালে তাঁর অষ্টম জন্মদিনের দিনই এই বার্তা পৌঁছে যায় তাঁর কাছে। সেই জন্মদিনে তিনি উপহার হিসাবে পান জেনারেলের পোশাক এবং সেনা নায়কের ব্রাস। ২০ বছর হল সেই বোনপোকে সামনাসামনি দেখেননি তিনি। আমেরিকার বিরুদ্ধে তাঁর শক্তির আস্ফালন কি সে দেশেই বসে টের পান কো? সদুত্তর মেলেনি এই প্রশ্নের। তবে উত্তর কোরিয়ার চির-শত্রু আমেরিকায় বসেই ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন কিমের মাসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kim Jong-un secret lif aunt
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE