প্রথা ভাঙার পালা শুরু হয়েছিল কাল থেকেই। আজও সেই ‘ব্যতিক্রমী’ খাতেই বইল দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
সবার চোখ কপালে তুলে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের জন্য প্রশংসার ঝুলি উপুড় করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানা দু’ঘণ্টা কথা। সফরের দ্বিতীয় দিনে বাণিজ্যে বেজিংয়ের ‘বাঁধ ভাঙা সাফল্যের’ অকুণ্ঠ প্রশংসা করে ট্রাম্প বললেন, ‘‘সুবিধে নেওয়ার জন্য চিনকে আমি দোষ দিই না!’’ যা শুনে হতবাক অনেকেই। কারণ হোয়াইট হাউসে ঢোকার আগে এই ট্রাম্পই বিশ্ববাণিজ্যে চিনের দুর্নীতি নিয়ে ভয়ঙ্কর সরব ছিলেন। প্রথম বার সেই চিনে পা রেখে ২৫ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যিক চুক্তি সইও করে ফেললেন ট্রাম্প।
বেজিং প্রসঙ্গে তাঁর আপত্তির স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তাঁর ‘ভাবনা’ পাল্টে গিয়েছে। প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের মনে হচ্ছে, দু’টো দেশ যে পথে ব্যবসা বাড়িয়েছে, তাতে চিন সুবিধে করে নিয়েছে। এর মধ্যে ত্রুটি খোঁজার কোনও মানেই হয় না! একেবারে পাক্কা ব্যবসায়ীর জবানে শোনা গিয়েছে, ‘‘দেশের নাগরিকদের ভালর জন্য অন্য দেশকে পিছনে ফেলে যে এগিয়ে যেতে পারে, তাকে কি দোষ দেওয়া যায়? আমি চিনকে কৃতিত্বই দিতে চাই।’’ ট্রাম্প কাঠগড়ায় তুলছেন পূর্বতন প্রশাসনকে। সাফ বলেছেন, মার্কিন বাণিজ্যে ঘাটতির দায় অতীত প্রশাসনের।