প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রাদেশিক আইনসভার ভোটে তুলকালাম হল রবিবার। অবাধে হিংসা, ভোট লুট ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব হলেন প্রার্থীরা। যে প্রধানমন্ত্রী দুনিয়ার সামনে পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক হিসেবে দেখানোর জন্য এই ভোটের বন্দোবস্ত করেছিলেন, সেই ইমরান খানের দলের দুই কর্মীই আজ মারা গিয়েছেন সংঘর্ষে।
এ দিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই হিংসা ও সংঘর্ষের খবর আসতে থাকে নানা জায়গা থেকে। বিকেল পাঁচটায় ভোট আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হলেও বহু মানুষকে ভোটের লাইনে দেখা গিয়েছে তখনও। ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভোট নেওয়ার পরে কিছু ক্ষণের বিরতি দিয়ে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এর ফলে ভোট থামলেও উত্তেজনা রয়েই গিয়েছে।
পাক সেনা অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভায় ৫৩টি আসন থাকলেও সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে ৪৫ জনের। ৫টি আসন সংরক্ষিত মনোনীত মহিলা সদস্যদের জন্য এবং ৩টিতে মনোনীত হবেন টেকনোক্র্যাটরা। ভারত এই নির্বাচনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, দখল করা অংশে রাজনৈতিক ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।
৪৫টি আসনের নির্বাচনে ইমরানের দল তেহরিক-এ-ইন্সাফ ছাড়া লড়াইয়ে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি (পিপিপি)। প্রচার থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত কেউ কাউকে জমি ছাড়তে রাজি নয়। এর ফলেই সংঘর্ষ হয়েছে দফায় দফায়। কোটলি জেলার চারহোইয়ের একটি বুথে মারামারির পরে তেহরিক-এ-ইন্সাফের দুই কর্মীর দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকেই খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।
ঝিলম ভ্যালি জেলায় আর একটি ঘটনায় জামাত-এ-ইসলামির কর্মীরা পুলিশের উপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হলে ৫ পুলিশকর্মী আহত হন। অনেকেরই আঘাত গুরুতর। এ ছাড়াও সারা দিনের সংঘর্ষে বহু পুলিশ ও সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন। হাঙ্গামা করার দায়ে অন্তত ১৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ভোটের আগে করা জনমত সমীক্ষাগুলিতে দাবি করা হয়েছে, ইমরানের দল বাকিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy