রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে আগেই পড়েছিল মায়ানমার। এ বার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-তেও মুখ পুড়ল আউং সান সু চি প্রশাসনের। টানা শুনানির পর, বৃহস্পতিবার দ্য হেগের ওই আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ষা করতে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে মায়ানমারকে।
সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে বা অন্য কোনও ভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর মতো পদক্ষেপ বন্ধ করতে ‘ক্ষমতা অনুযায়ী সবরকম ব্যবস্থা’ নিতে মায়ানমারকে নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। আন্তর্জাতিক ওই আদালত মেনে নিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমরা ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠতে থাকে। যত দিন গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে অভিযোগের তালিকা। ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মায়ানমারের নেত্রী সু চি। কিন্তু, সেই সু চি সরকারের সেনার বিরুদ্ধেই রোহিঙ্গাদের খুন এবং উৎখাত, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে ৫৭টি দেশের মিলিত মঞ্চ, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে গাম্বিয়াই রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বোচ্চ আদালতের গোচরে নিয়ে আসে। আফ্রিকার ওই দেশটির আইনি বিশেষজ্ঞরা মায়ানমারের বিরুদ্ধে ১৯৫১ সাল থেকে চালু হওয়া ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ লঙ্ঘনের মতো মারাত্মক অভিযোগ তোলেন। সেই সঙ্গে মায়ানমারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও আবেদন জানান তাঁরা।