ফিলিপ রুটনাম। —ফাইল চিত্র
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেলের বিরুদ্ধে অধস্তন কর্মীদের হেনস্থা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী সচিব স্যর ফিলিপ রুটনাম।
নিজের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে রুটনাম বলেছেন, ৩৫ হাজার কর্মীর স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, ভাল-থাকার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল তাঁর। প্রীতি তাঁর অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে ‘চিৎকার করেন, গালাগালি দেন’ এমন বহু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। রুটনামের অভিযোগ, ‘‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল। সাহস করে হাটে হাঁড়ি ভাঙা দরকার ছিল।’’ মামলা করার মতো প্রমাণ হাতে রয়েছে বলেও রুটনামের দাবি। প্রীতি অবশ্য অভিযোগ মানছেন না। কিছু দিন ধরে বরং জল্পনা চলছিল যে, রুটনামের সঙ্গে তাঁর সংঘাত বাড়ছে। প্রীতি রুটনামকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছেন, এমন কথাও রটেছিল। আজ নিজের বিবৃতি পাঠ করে রুটনাম বলেন, ‘‘গত দশ দিন ধরে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে ঘৃণ্য প্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি মিডিয়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, এতে তাঁর কোনও হাত নেই। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করতে পারছি না।’’ রুটনামের দাবি, প্রীতি যদি সত্যিই চাইতেন তা হলে রুটনাম-বিরোধী প্রচার থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন। তা তিনি করেননি। রুটনাম তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিবাদ নিরসনের চেষ্টা করলে তাতেও তিনি সাড়া দেননি বলে অভিযোগ।
৩৩ বছরের চাকরিতে পদত্যাগ করতে হল বলে রুটনাম দুঃখিত। তবে তাঁর কথায়, ‘‘তিনি নিশ্চিন্ত, এর পর থেকে যা আক্রমণ আসবে, তাঁর দিকেই আসবে। অন্য কর্মীদের উপর গিয়ে পড়বে না।’’ প্রীতির কাজকর্মের ধরন নিয়ে নানা খবর অবশ্য বেরোচ্ছে। গত সপ্তাহেই একটা কাগজ লিখেছিল, গোয়েন্দারা নাকি প্রীতিকে ভরসা করে নথিপত্র পাঠান না! কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও নতুন নয়। এর আগে যখন আন্তর্জাতিক বিকাশ মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেন, তখন বিভাগীয় কর্মীরা রীতিমতো ‘ডিং ডং দ্য উইকেড উইচ ইজ় ডেড’ গান গেয়ে আনন্দ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য জানিয়েছেন, প্রীতির উপরে তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy