ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল চিত্র।
সুর নরমে নারাজ আমেরিকা। বরং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার কিমের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানালেন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের মন্তব্যের ব্যাখ্যা মিলেছে মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনের গলায়। তাঁর দাবি, উত্তর কোরিয়া হামলা করলে আমেরিকা তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি।
সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সব থেকে আধুনিক শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ রবিবারই ঘটিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। টুইটারে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘পিয়ংইয়ং বিরাট পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে। ওদের কাজ এবং কথাবার্তা আমেরিকার জন্য ক্রমশ আক্রমণাত্মক এবং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।’’
আরও পড়ুন: হাইড্রোজেন বোমায় বিশ্ব কাঁপালেন কিম
এর পরেই রাতে সেনা কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট। ছিলেন সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরাও। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, বৈঠকে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে কি না? তখনই ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা ভেবে দেখছি।’’
কার্টুন: অর্ঘ্য মান্না
প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিদেশ সচিব টিলারসন বলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়া যদি আমেরিকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি করে তা হলে চরম পদক্ষেপ করা হতেই পারে। শুধু আমেরিকা নয়, জাপান কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াকে নিশানা করা হলেও কিম জং উনকে রেয়াত করবে না পেন্টাগন।’’
আরও পড়ুন: পরমাণু বোমার কাছে হাইড্রোজেন বোমা ‘দানব’!
কিমকে বাগে আনতে চেয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধই যে শেষ বিকল্প, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন টিলারসন। বিদেশ সচিবের কথায়, ‘‘আগ বাড়িয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছি না আমরা। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায় যে কোনও হামলার জবাব দিতে তৈরি আমাদের সেনা। তৈরি আমাদের জোটসঙ্গীরাও।’’
আরও পড়ুন: ২০০০ পরমাণু বোমা বানাতে পারে ভারত, রিপোর্টে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান
কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরাতে ওয়াশিংটন যা-ই পদক্ষেপ করুক, তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে টোকিও। কিমের মোকাবিলায় পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও উদ্যোগী দুই দেশ। সূত্রের খবর, গত কাল এ নিয়ে ফের কথাও হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। টিলারসন জানান, কিমকে চাপে রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশকে দলে টানতে চাইছে আমেরিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy