উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। তার মধ্যেই বাড়ছে ওঁদের উদ্বেগ। কেরল থেকে ইরাকের হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন ৪৪ জন। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরবেন কী করে, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে তাঁদের। ভারতে ফিরে আসতে ওই নার্সরা সরকারি সাহায্য চান কি না, সে কথা চিঠি লিখে জানাতে বলেছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু এরই মধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডি আবার জানিয়েছেন, উৎকন্ঠিত নার্সরা তাঁদের সাহায্য চেয়ে গত শুক্রবারই ফোন করেছিলেন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ফোন করে তিনি নিজে সে কথা জানিয়েওছেন।
চান্ডির দফতর সূত্রে খবর, ওই নার্সরা দেশে ফিরতে চান বলে তাঁদের জানিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দর পৌঁছনোটাই কঠিন কাজ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, বাড়ি যেতে চাইলে কেউ যেতেই পারেন কিন্তু ওই চত্বর ছেড়ে বেরোনো মাত্রই হাসপাতালের সব দায়িত্ব শেষ।
সরকারি হিসেব মতে, এখন প্রায় ২০০ ভারতীয় কর্মসূত্রে ইরাকে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নির্মাণকর্মী। সে দেশ থেকে দূতাবাস কর্মীদের এখনই সরানোর পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। ইরাকে বসবাসকারী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে, তাও এখনও স্থির হয়নি। তবে তাঁদের সহজে বাড়ি ছেড়ে বেরোতে নিষেধ করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের সাহায্যের জন্য বাগদাদের ভারতীয় দূতাবাসে চালু করা হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বরও।
এ দিকে ইরাকে অশান্তি অব্যাহত আজও। এত দিন একের পর এক শহরের দখল নিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেটস ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ (আইএসআইএস)। আর আজ পাল্টা আঘাত হানল দেশের সেনাবাহিনী। ইরাকের সরকারি টিভি চ্যানেল সোমবার জানিয়েছে, ফালুজার উত্তরপশ্চিমে সাকলাউইয়াতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০০ জন জঙ্গিকে আজ হত্যা করেছে সেনারা।
বাগদাদের উত্তরে মসুল, পশ্চিমে আনওয়ার প্রদেশ, তিকরিত শহর আগেই প্রশাসনের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। নিরাপত্তা কর্মীদের কী ভাবে পিছমোড়া করে বেঁধে হত্যা করেছে তারা, সেই ছবিও ইন্টারনেটে পোস্ট করেছিল আল কায়দার শাখা সংগঠন আইএসআইএস। এই নিয়ে তুমুল আলোড়নের মধ্যেই আজ আবার নতুন করে মৃত্যু-মিছিল ইরাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy