একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে জামাতে ইসলামির অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ কামরুজ্জামানের ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। তিনি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে খুন, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুঠপাটের বেশ কয়েকটি অভিযোগ এর আগেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে। গত বছর ওই আদালত তাঁর ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কামরুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দিল। সেই রায়ে তাঁর ফাঁসির সাজাই বহাল রাখা হল। এর পর কুখ্যাত এই জামাত নেতার ফাঁসি শুধু সময়ের অপেক্ষা। সম্প্রতি ‘মিরপুরের কসাই’ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে হাসিনা সরকার।
এই রায়ের বিরোধিতা করে আগামী বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে জামাতে ইসলামি। গত সপ্তাহেই আরও এক শীর্ষ জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামির প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার পর্যন্ত জামাতের ডাকে হরতাল চলছে দেশে। যদিও জনজীবনে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। তার মধ্যেই রবিবার জামাতের আর এক বড় নেতা মির কাসেম আলিকেও প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত।
কামরুজ্জামানের ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ে খুশি স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তি। শাসক দল আওয়ামি লিগ আশা প্রকাশ করেছে, দ্রুত এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এ দিন সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বরে ভিড় জমাতে থাকেন গণ জাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় স্লোগান। গণ জাগরণের নেতৃত্ব বলেন, “কামরুজ্জামানের মতো কুখ্যাত খুনি এবং দাঙ্গাবাজের ফাঁসি চেয়েছিলেন দেশবাসী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy