এই সেই ছবি যা টুইটারে পোস্ট করেছিল সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন। পরে অবশ্য তা সরিয়ে নেওয়া হয়।
চুরির শাস্তি দিতে কেটে নেওয়া হল হাত। তার পর সেই শাস্তির একাধিক ছবি পোস্ট করা হল টুইটারে। সিরিয়ার মাসকানাহ শহরে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ (আইএসআইএস)। পরে টুইটার থেকে ছবিগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে একাধিক চরমপন্থী সংগঠন ছবিগুলি নিজেদের সাইটে প্রকাশ করে দিয়েছে।
গোটা শাস্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন মুহূর্ত ধরা পড়েছে ছবিগুলিতে। একটিতে দেখা যাচ্ছে টেবিলের সামনে চোখ বাঁধা অবস্থায় বসে রয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁকে পিছন থেকে ধরে রেখেছে এক জন। আর সামনে চলছে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি। এক জনের হাতে তলোয়ারের মতো ধারালো অস্ত্র। অভিযুক্তের হাতের পাতার উপর তা রাখা রয়েছে। আর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর কাটা হাত থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে সামনের টেবিল। জঙ্গিদের দাবি, ওই ব্যক্তি চোর। নিজের অপরাধ নিজেই কবুল করেছে সে। এমনকী, অপরাধের শাস্তিস্বরূপ হাত কেটে নেওয়ার আর্জিও সে নিজেই জানিয়েছিল বলে দাবি ওই জঙ্গি সংগঠনের।
এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন, বিরোধীদের বড়সড় অংশ আল-কায়দা সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ মদতপুষ্ট। এই ঘটনা সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল বলে দাবি অনেকের। তথ্য বলছে, গত এপ্রিলে ইরাকে আল কায়দার সমর্থনপুষ্ট আইএসআইএসের জন্ম। তার পর থেকেই সিরিয়ার উত্তরে বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের জবরদস্তি চালায় ওই জঙ্গি সংগঠন। কোথাও জোর করে ধর্মান্তকরণ, কোথাও বা আবার অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের উপর কর চাপানো, এ সবের পাশাপাশি বাকি জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও প্রায়ই রক্তাক্ত লড়াই চলে তাদের। একাংশের দাবি, সিরিয়া জুড়ে চরমপন্থী আইন বলবৎ করাই ওই জঙ্গি সংগঠনের লক্ষ্য।
সেই চরমপন্থী আইনেই চুরির শাস্তি হাত কেটে নেওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার জেরে যে ছবি দেখে ফেলল গোটা বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy