ইজ়রায়েলে আটকে ছিলেন সাত্যকি। —নিজস্ব চিত্র।
ইজ়রায়েল-হামাস রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়ে সেখানে আটকে পড়ছেন বনগাঁ শহরের বাসিন্দা সাত্যকি কুন্ডু। নিয়ম করে বাড়িতে অবশ্য ফোন করছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাড়ি ফেরার বিমান ধরেছেন মঙ্গলবারই। ফলে চিন্তা কিছুটা কেটেছে না মা বুলা, বাবা রিপুর। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সাত্যকি একমাত্র ছেলে।
সাত্যকিদের বাড়ি বনগাঁ শহরের শক্তিগড় এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, বুলা ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। মাকে সাত্যকি জানালেন, তিনি এয়ারপোর্টে। দেশে ফেরার বিমান ধরছেন। বিমান বন্দরে সিকিউরিটি চেকিং হয়ে হিয়েছে। যা শুনে আশ্বস্ত হন পরিবারের সকলে। এ দিনই দুবাই পৌঁছনোর কথা সাত্যকির।
সাত্যকি মাকে বলেন, "ঘন ঘন সাইরেন বাজছে। সারা দিন যুদ্ধবিমান উড়ে বেড়াচ্ছে।" সাত্যকির মায়ের কথায়, "৬ অক্টোবর রাতে ইজ়রায়েলে হামলা হয়েছিল। পর দিন ছিল ছুটির দিন। আমরা ছুটির দিনে ছেলেকে একটু দেরি করে ফোন করি, সকাল ১১টা নাগাদ। সকাল ১০টা নাগাদ ছেলেই ফোন করল। আমরা টিভিতে খবর দেখেছি কি না জানতে চাইল। ছেলেই জানাল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।" ৭ অক্টোবর ভোরে সাইরেনের শব্দে সাত্যকির ঘুম ভাঙে। করিডরে এসে দেখেন, লোকজন সকলে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন।
সাত্যকির জ্যাঠা রতন বলেন, "ওখানে ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাইরেন বাজলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হচ্ছিল। টিভিতে হামলার খবর দেখছি। পুজোর ছুটিতে এক মাসের জন্য ওর বাড়ি আসার কথা ছিল এমনিতেই। তার আগেই এই ঘটনা। ভাল ভাবে বাড়ি ফিরুক, এখন এটাই চাই।"
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ সাত্যকি ফিজিক্সে পোস্ট ডক্টরেট করতে ইজ়রায়েল পাড়ি দিয়েছিলেন। মা জানালেন, ৭ অক্টোরব ছেলের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বাতিল হওয়ায় ফিরতে দেরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy