ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনে প্রভাব খাটানো সংক্রান্ত একটি মামলায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হলে ২০ বছরের জেলের সাজা পেতে পারেন তিনি। আর একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে এক জনকে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তদন্তে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল হতে পারে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের। দেশের স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করার অভিযোগে যে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাকে রোখার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হতে পারে তাঁর। এই ভাবে মোট ৭৮টি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০০ বছরের জন্য জেল হতে পারে।
ট্রাম্প অবশ্য বারবারই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন যে, জো বাইডেন প্রশাসন চক্রান্ত করে তাঁকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরাতে চাইছে। আমেরিকা প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ট্রাম্পের শত বছরের জেলযাত্রা হবে— তেমন সম্ভাবনা কম। তবে দেশের প্রাক্তন শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে এতগুলি অভিযোগ জমা পড়া নজিরবিহীন বলে মনে করছেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত, পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত প্রায় ১০০টি নথি নিজের ফ্লরিডার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। দেশের প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দাখিল করা ৪৯ পাতার চার্জশিটের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে ৩১টির মূল বিষয়ই হল, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি’। এই অভিযোগের পাল্টা সরব হন ট্রাম্প। বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy