Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

জীবনধারা

Experiences in Kolkata: দাবার আসর থেকে জিভে জল আনা মুচমুচে ফিশ ফ্রাই, সবই পাবেন কলকাতা শহরের এই চত্বরে

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১২
গড়িয়াহাট অঞ্চলকে কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করেন এই শহরের অনেক মানুষ। বাস্তবিক, এখানকার দেওয়ালে অপূর্ব সব গ্রাফিতি দেখে মুগ্ধ হওয়া থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া বা কেনাকাটার জন্য এই অঞ্চলে হাতে সময় নিয়ে আসা প্রয়োজন।

সকাল সকাল এই চত্বরে এসে উপস্থিত হলে জলখাবারটাও সেরে ফেলতে পারেন এখানেই। বিভিন্ন দোকানে মুখরোচক কচুরি-ছোলার ডাল দিয়ে প্রাতরাশ সেরে শুরু করুন অভিযান।
Advertisement
বিভিন্ন ডিজাইনের, নানা দামের জামাকাপড় কেনার জন্য গড়িয়াহাটই যে কলকাতা শহরের অন্যতম প্রধান গন্তব্য, তা বলা বাহুল্য।

গড়িয়াহাট চত্বরেই রয়েছে পুরনো বইয়ের বেশ কিছু দোকান। হাতে সময় নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখলে আপনার মনপসন্দ অনেক বই-ই পেয়ে যেতে পারেন যা হয়তো খুঁজে না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন এক
Advertisement
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসতে পারেন কোনও ক্যাফেতে। গড়িয়াহাটের আশেপাশের গলিতে বিখ্যাত বিভিন্ন ক্যাফে রয়েছে যা রসনাতৃপ্তির পাশাপাশি আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। এর মধ্যে কিছু ক্যাফেতে পেতে পারেন মনকাড়া পোশাকের সম্ভারও।

জাঙ্ক জুয়েলারি পছন্দ করেন যাঁরা, গড়িয়াহাট চত্বর তাঁদের স্বর্গ। গলার হার, চোকার, কানের দুল, বেল্ট, আংটি, কোমরবন্ধ এমনকি, পছন্দের বাহারি চপ্পল পর্যন্ত পেয়ে যাবেন দরদাম করতে জানলে।

গড়িয়াহাটের চারমাথার মোড়ের চার দিকেই রয়েছে মিষ্টির বিভিন্ন দোকান। ঘোরাঘুরি করতে করতে কলকাতা শহরের মানুষ নিজের মনের মতো মিষ্টি এখানে পাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা চলে।

গোলপার্কের মাথায় রয়েছে সুবিশাল একটি গ্রন্থাগার। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই লাইব্রেরিতে কিছু ক্ষণ বইপত্রের মাঝখানে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন আপনিও।

এই অঞ্চলের আশেপাশেই রয়েছে বিলাসবহুল বেশ কিছু মল। নামীদামি সংস্থার বিভিন্ন জিনিসের খোঁজে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন এইখানে।

কিংবদন্তি কিছু চপ-কাটলেটের দোকান গড়িয়াহাটে গেলেই হাতছানি দেবে আপনাকে। ডিমের ডেভিল কিংবা ফিস ফ্রাই-এসবের স্বাদ একবার খেলে মুখে লেগে থাকতে বাধ্য।

সেরামিকের বাসন গড়িয়াহাট থেকে কিনতে দূর-দুরান্ত থেকে আসেন অনেক মানুষ। বিভিন্ন চলচ্চিত্রের প্রয়োজনেও এই অঞ্চলের সেরামিকের জিনিস ব্যবহার হয়।

বিকেল হতে না হতেই বিভিন্ন বয়সের মানুষ আস্তে আস্তে ভিড় জমান গড়িয়াহাটের মোড়ে, দাবার আড্ডায়। এখানকার দাবা খেলা দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন বিভিন্ন পথচারীও। অফিস ফেরত অল্পবয়সি অনেকেই জুটে যান দাবার ছক পেতে। এখন তো খেলুড়েদের যাতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য আলাদা ভাবে আলোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে।