Advertisement
E-Paper

নীড় ছোট, ক্ষতি কী? ঘর সাজানোর কায়দা জানলেই জায়গা মিলবে অঢেল

ছোট ফ্ল্যাটের একেবারে সহজ অন্দরসজ্জার নিয়ম হচ্ছে স্লিক ফার্নিচার। বসার ঘরে বাইরে থেকে কিনে আনা সোফা সেট নয়, বরং ফ্ল্যাটের মাপ অনুযায়ী বানিয়ে নিন।

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৩৭
ফ্ল্যাট সাজিয়ে নিন আপনার মনের মতো করে।

ফ্ল্যাট সাজিয়ে নিন আপনার মনের মতো করে।

দেশের নানা রাজ্য থেকে কলকাতা শহরে উপার্জনের জন্যে আসতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। শহরের টানে এখানেই অনেকে থেকে যান সারাজীবন, আবার কেউ ফিরেও যান। কিন্তু যতদিন থাকেন তারাও নিজস্ব একটা বাসস্থানেই থাকতে পছন্দ করেন। অনেকেই সুবিধের জন্যে ফ্ল্যাটে ভাড়া না থেকে ছোট্ট একটা ফ্ল্যাট কিনেই নেন। তারপর সেই ফ্ল্যাটটিকে মনের মতো সাজিয়ে নেন তারা।

শহর কলকাতা এবং তার আশেপাশে এই ধরনের ছোট ছোট ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে আজকাল। ছশো থাকে সাতশো বর্গফুটের মত কার্পেট এড়িয়া। কখনও দু’টি শোওয়ার ঘর, কখনও একটা। একটি বসার এবং খাওয়ার ঘর একসঙ্গে। একটি কিচেন, আজকাল যদিও ওপেন কিচেনের চাহিদা বেড়েছে। টয়লেট একটি বা দু’টি। আর একফালি বারান্দা।

এমন ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘরের আনুমানিক মাপ হতে হবে ১৪০-১৫০ বর্গফুট। দু’টি শোওয়ার ঘর মানে প্রায় তিনশো বর্গফুট এখানেই হয়ে গেল। একটি টয়লেট মোটামুটি পঞ্চাশ থেকে ষাট বর্গফুট। বসার এবং খাবার ঘরের জায়গা কমপক্ষে ২৫০ বর্গফুট। ওপেন কিচেন হলে ওই পঞ্চাশ-ষাট বর্গফুটের মতো হিসেব।

ওপেন কিচেন হলে সামনের দিকে একটু উঁচু করে কিচেন কাউন্টার বানিয়ে নেওয়া যায়

ছোট ফ্ল্যাটের একেবারে সহজ অন্দরসজ্জার নিয়ম হচ্ছে স্লিক ফার্নিচার। শোওয়ার ঘরের খাট উচ্চতায় ষোলো ইঞ্চির বেশি নয়। এর উপরে থাকবে গদি৷ সাইড টেবিল অবশ্যই থাকবে। খাটের একপাশের দেওয়ালে জায়গা বেশি থাকলে আয়না করে নেওয়া যেতে পারে। ড্রেসিংটেবিলের জন্য চওড়ায় তিন ফুটের মতো জায়গা হলেই চলবে। ড্রেসিংটেবিলকে টপ সাইড টেবিল টপ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রয়ার যেন অবশ্যই থাকে৷ খাটের পিছনের দিকের দেওয়ানে জানালা না থাকাই শ্রেয়। এই দেওয়ালটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে ওয়াল পেপার বা প্যানেলিং দিয়ে। আলোর বন্দোবস্ত যেন যথেষ্ট থাকে। ওয়ার্ডরোবের গভীরতা যেন এমন হয়, যাতে কোট ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে।

বসার ঘরে বাইরে থেকে কিনে আনা সোফা সেট নয়, বরং ফ্ল্যাটের মাপ অনুযায়ী বানিয়ে নিন তা। এতে অনেকটা জায়গা ও খরচ বাঁচবে। বসার জায়গা আর খাবার টেবিলের মধ্যে একটা পার্টিশান হলে খুব ভালদেখায়। তাহলে বাইরের লোকের চোখে পরবে না খাওয়ার জায়গা। ডাইনিং টেবিলের আশেপাশে একটা বেসিন রাখুন। যাতে খাওয়ার পর হাত-মুখ সহজেই ধুয়ে নেওয়া যায়।

ওপেন কিচেন হলে সামনের দিকে একটু উঁচু করে কিচেন কাউন্টার বানিয়ে নেওয়া যায়। বার স্টুল ব্যবহার করে এই উঁচু হয়ে থাকা কাউন্টারেই খাবর খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে দেখতেও নতুনত্ব আসে আবার অনেকটা জায়গাওবাঁচে। নীড় চোট হলেও ক্ষতি নেই যদি সাজানোর অভিনবত্বে তা আকাশের মতো অনন্ত হয়ে ওঠে।

Flat Room decor Home decor Kolkata Decoration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy