QS Asia University Rankings 2026

এশিয়াতে বাড়ছে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দাপট! কিউএস তালিকায় অক্ষুণ্ণ আইআইটি দিল্লির স্থান

তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই গত বছরের স্থানাঙ্ক ছিল আরও একটু উপরের দিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৪
Share:

আইআইটি দিল্লি। ছবি: সংগৃহীত।

এশিয়াতে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আধিপত্য বাড়ছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত তালিকায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। রিপোর্টে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিতে অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং গবেষণার মানের কথা।

Advertisement

মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা কোয়াককারেরি সিমন্ডস (কিউএস) ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং এশিয়ার তালিকা। স্থানাঙ্কে খানিক অবনতি ঘটেছে। তবুও চলতি বছরে এশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিজেদের মান অক্ষুণ্ণ রেখেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) দিল্লি। রয়েছে ৫৯তম স্থানে। প্রথম ১০০-র তালিকায় এ ছাড়াও রয়েছে আরও ছ’টি প্রতিষ্ঠান। আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর র‍্যাঙ্ক ৬৪। আইআইটি মাদ্রাজ-এর স্থানাঙ্ক ৭০ এবং আইআইটি বম্বে-র ৭১। আইআইটি কানপুর এবং আইআইটি খড়্গপুর যুগ্মভাবে ৭৭তম স্থান দখল করে নিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ৭৫।

তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই গত বছরের স্থানাঙ্ক ছিল আরও একটু উপরের দিকে। আইআইটি দিল্লি ছিল ৪৪তম স্থানে, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু ছিল ৬২তম স্থানে, আইআইটি মাদ্রাজ ৫৬তম স্থানে, আইআইটি কানপুর ৬৭তম স্থানে, আইআইটি খড়গপুর ৬০তম স্থানে এবং দিল্লি বিশ্ববদ্যালয় ছিল ৮১তম স্থানে। এ ছাড়া, তালিকায় প্রথম ২০০-তে রয়েছে দেশের ২০টি প্রতিষ্ঠান এবং ৫০০-র মধ্যে রয়েছে আরও ৬৬টি প্রতিষ্ঠান।

Advertisement

এশিয়ার বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মোট ১১টি মাপকের ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলি হল— পড়াশোনার নিরিখে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা, কর্মীদের সুনাম, শিক্ষক-পড়ুয়ার অনুপাত, গবেষণাপত্রের সাইটেশন, শিক্ষকদের দ্বারা প্রকাশিত গবেষণাপত্র, পিএইচডি যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষাকর্মী, আন্তর্জাতিক স্তরের গবেষণা, আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক স্তরের পড়ুয়া, দেশে এবং বিদেশে ‘স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ’।

চলতি বছরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ভাল ফলের নেপথ্যে রয়েছে সেখানে কর্মরত অধ্যাপকদের যোগ্যতা এবং গবেষণার মান। এশিয়ার বাকি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেই রয়েছে সর্বাধিক পিএইচডি যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং তাঁদের দ্বারা প্রকাশিত গবেষণাপত্র। এর মধ্যে শিক্ষকদের দ্বারা প্রকাশিত গবেষণাপত্রের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে রাজ্যের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)।

তবে এখনও বিদেশি অধ্যাপকদের উপস্থিতি, বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা এবং 'স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ'-এর মতো ক্ষেত্রে পিছিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement