ঘুমের সময়ে পা কোথায় রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
রাতের ঘুম ভাল হয় না? নিদ্রা নিয়ে এই দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই। সময় মতো ঘুম আসে না, এ দিকে সকালে উঠতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধও কাজে দেয় না। সে ক্ষেত্রে পায়ের অবস্থান অল্প বদলে নিলেই হয়তো সুফল পেতে পারেন। ২০২৩ সালে ‘জার্নাল অফ ফিজ়িয়োলজিক্যাল অ্যানথ্রোপোলজি’-তে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় বৈজ্ঞানিক কারণ সমেত এক কৌশলের কথা বলা হয়েছে।
শীত ছাড়াও বর্ষাকালে অনেকে গায়ে চাদর নিয়ে ঘুমোতে ভালবাসেন। কেউ আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র না চালিয়ে ঘুমোতে পারেন না। তখনও ভারী চাদর বা পাতলা কম্বলের প্রয়োজন পড়ে। বর্ষার ঋতুতে রাতের দিকে মনোরম হাওয়া দিলে চাদরটা টেনে বুকের কাছে নিয়ে নিলে আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু মুশকিল হল, তার পরেও অনেকের ঘুম আসতে চায় না। কাজের চাপ, সম্পর্কের চাপ, পারিবারিক চাপ, সমস্ত কিছু মাথার মধ্যে এসে ভিড় করে। সে সময়ে একটি সহজ কৌশলে নাকি আরাম পাওয়া যেতে পারে। তেমনই দাবি গবেষণায়।
পা চাদরের বাইরে রেখে ঘুমোলে আস্তে আস্তে পা থেকে তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
চাদর থেকে একটি পা বাইরে বার করে শুয়ে থাকতে হবে। শুনে মনে হচ্ছে, এ আর এমন কী? কিন্তু এই ছোট বদলই অনেক বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। বিছানায় যাওয়ার আগে থেকেই শরীর তার তাপমাত্রা কমাতে শুরু করে। গভীর ঘুমের সময় ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। পা চাদরের বাইরে রেখে ঘুমোলে আস্তে আস্তে পা থেকে তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। বাইরের তাপমাত্রা গরম থাকলেও অনেকেই চাদর গায়ে দিয়ে শুতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। সে ক্ষেত্রে পা বার করে শোয়াই উচিত। ঘুমোনোর সময়ে পা এবং হাত এমন জায়গায় রাখা হয়, যাতে দ্রুত তাপ ছাড়তে পারে শরীর।
আসলে পায়ে বিশেষ ধরনের রক্তনালিকা থাকে, যা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি পা বাইরে রাখলে অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যেতে পারে, ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমে যায়, যা মস্তিষ্ককে ঘুমোনোর সংকেত পাঠায়। তা ছাড়া পায়ের পাতায় লোম থাকে না। এর ফলে তাপ বিনিময়ের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী জায়গা পায়ের পাতা। একটি পা উন্মুক্ত রাখলে রক্তনালিকাগুলির সাহায্যে অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে সুন্দর ঘুমের সূত্র কী জানেন?
হালকা গরম জলে স্নান, বা গরম পানীয় পান করে শুতে যান। বিছানায় শুয়ে পড়ার পর আলো বন্ধ করে দিন। ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না। ঘর ঠান্ডা রাখা ভাল। এক পা (দু’টি পা-ও রাখা যায়) বাইরে রেখে চোখ বন্ধ করুন।