প্রসেসড ফুড শুনলেই আমরা ভাবি অস্বাস্থ্যকর। নিউট্রিশনিস্টরা চিপস, কুকিজ, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্ক, প্যাকেজড ফ্রুট জুসের সঙ্গে ‘না’ শব্দ জুড়েই দিয়েছেন। প্রসেসড ফুড মানেই কি খারাপ? এমন অনেক খাবার রয়েছে যা প্রসেসড হলেও স্বাস্থ্যকর। নিউট্রিশনিস্টরাই জানাচ্ছেন এমন কিছু হেলদি প্রসেসড ফুডের কথা।
ফ্রোজেন সব্জি: টাটকা সব্জির মতো বা তার থেকেও বেশি স্বাস্থ্যকর হয় ফ্রোজেন সব্জি। কারণ এই সব সব্জি ফলনের সেরা সময় তুলে ফ্রিজ করা হয়।
ফার্মেন্টেড ফুড: যে কোনও ফার্মেন্টড ফুডে স্বাস্থ্যকর ব্যাকেটেরিয়া থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। আচার, কিমচির মতো ফার্মেন্টেড খাবার অনেক দিন রেখে দিলেও ভাল থাকে।
ইয়োগার্ট: বাড়িতে তৈরি ইয়োগার্টের থেকে প্যাকেজড ইয়োগার্ট বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে মিনারেল ও প্রোবায়োটিক বেশি থাকে। ফ্লেভারড না কিনে প্লেন ইয়োগার্ট কিনুন।
টোম্যাটো সস: ব্যস্ত সময়ে বাড়িতে টোম্যাটো সস বানানো বা রান্নায় তাজা টোম্যাটো পিউরি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। বাড়িতে টোম্যাটো সস কিনে রাখলে এই ঝক্কি মেটে। মার্কেটের টোম্যাটো প্রডাক্টে তাজা টোম্যাটোর তুলনায় লাইকোপেন বেশি থাকে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
আনসুইটেনড প্যাকেজড মিল্ক: প্যাকেজড দুধ এমন ভাবে প্রসেস করা হয় যাতে বেশি দিন ফ্রেশ থাকে। এই সব দুধ স্কিমড, টোনড ও অনেক সময়ই টাটকা দুধের থেকে বেশি হাইজিনিক হয়।
ওটস: প্রসেসড ফুড হলেও ব্রেকফাস্টে খাওয়ার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস খুবই পুষ্টিকর। ফ্লেভারড ওটস না কিনে প্লেন ওটস কিনে রাখুন বাড়িতে। তাজা ফল, দই দিয়ে ওটস খান।
হোলগ্রেন আটা: বাড়িতে গম ভাঙানো সম্ভব নয়। তাই বাজার থেকে আটা-ময়দা কিনতেই হয়। বাজার থেকে কেনা প্রসেসড ময়দা বা সাদা আটার তুলনায় লাল আটা অনেক বেশি পুষ্টিকর। এতে ফাইবার থাকে বেশি।
পপকর্ন: কেনা প্যাকেটের মধ্যে নুন, সামান্য তেল ও পপকর্ন থাকে। যা চিপস বা কুকিজের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। হঠাত্ খিদে মেটাতে পপকর্ন খেলে পেট ভরা থাকে বেশ কিছু ক্ষণ।