Diabetes

ডায়াবিটিসে উপকারী করলা! রস বানিয়ে খেতে না চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন আচার

চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিসের সমস্যায় করলা খাওয়া প্রয়োজন। তবে একটু অন্য ভাবে খাওয়া যেতে পারে। আচার খেতে ভালবাসেন? তা হলে করলা দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন আচার। রইল প্রণালী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৮
Share:

আচার খেতে ভালবাসেন? তা হলে করলা দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন আচার। ছবি- সংগৃহীত

ডায়াবিটিস সামলানো মুখের কথা নয়। হাজার নিয়ম মেনেও বাগে আনা যায় না এই রোগ। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে খাওয়াদাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। একে একে পাত থেকে বাদ পড়তে থাকে পছন্দের খাবার। মিষ্টি থেকে ভাত— এড়িয়ে চলতে হয় অনেক কিছুই। ডায়াবিটিস হলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি এমন কোনও সব্জি একেবারে খাওয়া চলে না। আলু, ওল, মানকচুর মতো মাটির নীচে হওয়া যে কোনও সব্জিই ডায়াবিটিসের সমস্যায় খাওয়া বারণ। তবে যে সব্জিগুলি ডায়াবিটিসের সমস্যায় চোখ বন্ধ করে খাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল করলা। এর পুষ্টিগুণ মারাত্মক। রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো থেকে শুরু করে আরও অনেক উপকার আছে করলার।

Advertisement

উপকারী হলেও করলা খেতে নাক সিঁটকোন অনেকেই। ডায়াবেটিক রোগীরাও অনেক সময়ে করলা খেতে চান না। চিকিৎসকরা বলছেন, ইচ্ছা না করলেও ডায়াবিটিসের সমস্যায় করলা খাওয়া প্রয়োজন। তবে একটু অন্য ভাবে খাওয়া যেতে পারে। আচার খেতে ভালবাসেন? তা হলে করলা দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন আচার। রইল প্রণালী।

উপকরণ:

Advertisement

করলার টুকরো: ৭-৮টি

ভিনিগার: এক চা চামচ

সর্ষের তেল: পরিমাণ মতো

জিরে: ২ টেবিল চামচ

গরম মশলা: ১ চা চামচ

মেথি: ২ চা চামচ

নুন: স্বাদ মতো

মৌরি: ৪ চা চামচ

বিট নুন: ১ চা চামচ

সর্ষে গুঁড়ো: ২ টেবিল চামচ

শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো: ১ চা চামচ

হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ

রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো থেকে শুরু করে আরও অনেক উপকার আছে করলার। ছবি- সংগৃহীত

প্রণালী:

করলার টুকরোগুলি প্রথমে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নুন মাখিয়ে রাখুন।

কড়াইয়ে জল গরম করে করলাগুলি সিদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করলাগুলি একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়িয়ে রোদে রেখে দিন ৩-৪ ঘণ্টা।

এ বার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে জিরে, মেথি, সর্ষে ভেজে নিন। এই ভাজা মশলাগুলি গুঁড়িয়ে নিন মিক্সিতে।

এ বার আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা করলাগুলির সঙ্গে বাকি মশলাগুলি মিশিয়ে নিন। অল্প নুন দিন। লেবুর রস, ভিনিগার দিন। সব উপকরণগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটি কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

এক বার বানিয়ে রাখলে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত খেতে পারেন। ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। তবে ফ্রিজে রাখলে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে বার করে রাখুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন