Uttar Pradesh

‘বাড়িতে কেউ নেই, মাঝরাতে এসো’ প্রেমিককে ডেকে ছুরি দিয়ে যৌনাঙ্গ কেটে ফেললেন বধূ! ভয় ধরাবে পরকীয়ার ভয়ঙ্কর উপ্যাখ্যান

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার জৌনপুরের সরপতা থানা এলাকার দাখা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত তরুণীর স্বামী কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকতেন। দুই সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তরুণী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্বামী দূরে থাকায় একাকিত্ব ঘোচাতে গ্রামেরই এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এ বার সেই প্রেমিককেই বাড়িতে ডেকে ছুরি দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বধূর বিরুদ্ধে। প্রেমের ভয়ঙ্কর উপ্যাখ্যানের সেই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলায়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জৌনপুর তথা গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে হইচই পড়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার জৌনপুরের সরপতা থানা এলাকার দাখা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত তরুণীর স্বামী কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকতেন। দুই সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তরুণী। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর অনুপস্থিতিতে ২২ বছর বয়সি এক তরুণ প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বধূ। মেলামেশাও করতেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু প্রেমিক দেখা করতে যাওয়ার পরে কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। তখনই রেগে গিয়ে ওই বধূ তাঁর প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ।

প্রেমিকার অপ্রত্যাশিত আক্রমণের পর তরুণ চিৎকার করতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন স্থানীয় মানুষজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন তরুণ। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সেই দৃশ্য দেখে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ আসার পর তড়িঘড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বারাণসীতে স্থানান্তরিত করা হয়। তরুণের অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটজনক।

Advertisement

অভিযুক্ত বধূকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা শাহগঞ্জ পুলিশ সার্কল অফিসার অজিত সিংহ চৌহান জানিয়েছেন, আহত তরুণ বারাণসীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement