Best restaurants near Salt Lake for Durga Puja dgtl
Restaurants near Saltlake
সল্টলেকের ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন? পেটপুজোর জন্য কোন ১০টি রেস্তোরাঁ বেছে নেবেন?
সল্টলেকের সেরা পুজো পরিক্রমার ফাঁকে কোথায় মিলবে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া? কফি, পাঞ্জাবি ধাবা থেকে শুরু করে রাজকীয় মুঘলাই অথবা খাঁটি বাঙালি থালি— পেটপুজোর প্ল্যানটি জেনে নিন।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
শারদীয় উৎসবের ঢাক বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আলোর মালায় সেজে উঠছে শহরের অলিগলি, আর এই সময়েই কলকাতার সেরা আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম হল সল্টলেকের বিভিন্ন দুর্গাপুজো। প্রতি বছর এই অঞ্চলের পুজো দেখতে যেন গোটা শহর ভেঙে পড়ে। তবে এমন জমজমাট ভিড়ে ঠাকুর দেখা যেমন জরুরি, তেমনই দরকার রসনা তৃপ্তির। সারা দিন প্যান্ডেল হপিংয়ের পর খিদে মেটানোর জন্য সল্টলেকের আশেপাশে সেরা ১০টি ভোজনালয়ের হদিস থাকল, যা পুজো ‘ডে-আউট’কে করে তুলবে খাদ্যরসিকের পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা।
০২১২
১. বেকার’স নেস্ট : ঠিকানা - সেক্টর ১, সল্টলেক। ভিড় এড়িয়ে কিছুটা শান্তি খুঁজছেন? তা হলে এই জায়গাটি আদর্শ। এটি নিছক কফি বা পেস্ট্রির দোকান নয়, বরং পুজো-হপিংয়ের মাঝে হালকা কন্টিনেন্টাল মিলের জন্য চমৎকার একটি বিরতিস্থল। বিকেলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ক্লান্তি এলে এক কাপ কফি আর মিষ্টির জন্য এটিকেই বেছে নিতে পারেন। সন্ধ্যের দিকে এখানে বেকড আলাস্কা বা প্যানকেক–এর সঙ্গে গ্রিলড ভেটকি স্টেক অথবা চিকেন স্ট্রোগানফ চেখে দেখলে মন ভরে যায়।
০৩১২
২. বাল্লে বাল্লে ধাবা : ঠিকানা- সিটি সেন্টার ১-এর কাছে। রাত জেগে পুজো দেখা বাঙালির বহু পুরনো অভ্যাস। যখন গভীর রাতে বাকি সব রান্নাঘরের দরজায় তালা পড়ে, তখনও আপনার ‘লেট-নাইট ক্রেভিং’ মেটানো বা রাতের খাবার সেরে নেওয়ার ভরসা এই পাঞ্জাবি ধাবা-স্টাইল ডাইনিং। রাস্তার ধারের ধাবা আর খাঁটি পাঞ্জাবি রান্নার স্বাদ—এখানকার চিকেন টিক্কা এবং নিরামিষাশীদের জন্য ‘মক্কি কি রোটি’ ও ‘সরসো দা সাগ’ দারুণ জনপ্রিয়। লেট-নাইট ইটস হিসেবে এটি এক্কে বারে নিরাপদ ঠিকানা।
০৪১২
৩. ক্যালকাটা রেট্রো: ঠিকানা- ডিডি ব্লক, সেক্টর ১। নামেই রয়েছে নস্টালজিয়া। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে তৈরি এখানকার পরিবেশ। পুজোয় গ্রুপ ডিনারের জন্য বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসার জন্য এটি বেশ সুবিধাজনক। যাঁরা ‘বেঙ্গলি থালি’ এবং ‘কন্টিনেন্টাল স্মল প্লেটে’র মাঝে একটি মধ্যপন্থা খুঁজতে চান, তাঁদের জন্য এই রেস্টুরেন্ট সেরা। ভিড় এড়ানোর জন্য এখানকার অফারগুলি বা টেবিল বুকিংয়ের সময়টা একটু দেখে নিলে ভাল হয়।
০৫১২
৪. কাফিলা: ঠিকানা- সিটি সেন্টার ১, ব্লক বি, ৩য় তল। রাজকীয় মুঘলাই খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে যেতে হবে এখানে। এটির পরিবেশও বেশ জমকালো। বড় দল বা পরিবারের জন্য এখানে 'কাভানা সিটিং'-এর ব্যবস্থা আছে, যা গ্রুপ ডাইনিংয়ের জন্য দারুণ উপযোগী। ‘সিগনেচার’ পদ হিসেবে এখানকার কান্দাহারি লাহম চেখে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সঙ্গে কিমা নান ও মাটন বিরিয়ানি অর্ডার করলে ভোজটি পুরো জমে যায়।
০৬১২
৫. গোল্ডেন সিটি রেস্টুরেন্ট- ঠিকানা: এফডি পার্ক/এফডি ব্লকের বড় মাঠের কাছে। এফডি ব্লকের পুজো দেখতে গিয়ে খিদে পেলে হেঁটে আসার দূরত্বে এটি দারুণ সুবিধাজনক। পুজো রুটে হাঁটাচলার ক্লান্তি দূর করতে এখানে চাইনিজ-এশিয়ান সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার মেলে। ক্লাসিক কোপ্তা-চিলি বা হাক্কা নুডলস এখানকার নিয়মিত পছন্দের তালিকায় থাকে। বড় মাঠের প্যান্ডেল দেখার পরে দ্রুত লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য এটি হাতের কাছেই ভাল বিকল্প।
০৭১২
৬. বাবু কালচার: ঠিকানা- সেক্টর ২, সল্টলেক। পুজোর দিনগুলিতে বাঙালিয়ানা স্বাদে রসনা তৃপ্তি না হলে কেমন যেন অপূর্ণ থেকে যায়। সল্টলেকের এই শাখাতেই সেই অভাব পূরণ করে। মটন বা চিংড়ি থালি—এটি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। তবে থালির বাইরে যাঁরা হালকা কিছু চাইছেন, তাঁরা পোস্ত বড়া, হাঁসের ডিম সরষে বা চানার ডালনা-র মতো পদগুলিও চেখে দেখতে পারেন। অষ্টমী বা নবমীর দুপুরের জন্য থালির পরিকল্পনা থাকলে এখানে আগে থেকেই পৌঁছানো ভাল।
০৮১২
৭. করিম’স: ঠিকানা -সেক্টর ১/সেক্টর ৫ জোন। দিল্লির ঐতিহ্যবাহী মুঘলাই স্বাদের জন্য এটি খুবই জনপ্রিয়। পুজো উপলক্ষে যারা নিছক ভিড়ে বসে সময় নষ্ট না করে চটজলদি ভাল খাবার চাইছেন, তাদের জন্য টেক-অ্যাওয়ের ব্যবস্থা আছে। এখানকার চিকেন রেজালা, এগ/মাটন বিরিয়ানি এবং শেষে ঠাণ্ডা ফিরনি—এই পদগুলির খ্যাতি সব সময়ের। ভিড়ের সময়ে টেক-অ্যাওয়ে নিলে অপেক্ষার সময়টি কিছুটা কমানো যেতে পারে।
০৯১২
৮. সপ্তপদী রেস্টুরেন্ট : নামেই যেন বাঙালি কিংবদন্তী! পুজোতে ঐতিহ্যবাহী মেনুতে সাজানো খাবারের জন্য এই রেস্তরাঁর পরিচিতি রয়েছে। ভাজা, শুক্তো, মাছের পদ এবং সবশেষে মিষ্টি—এই কোর্স মিলগুলি বাঙালির মনে ধরে। এফডি ব্লকের পুজো রুট প্ল্যানে এই রেস্টুরেন্ট থাকলে, আগে থেকে টেবিল বুকিং করে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১০১২
৯. সোনার তরী: যাঁরা পুজো ‘ডে-আউট’কে একটি বিশেষ ডিনারে রূপ দিতে চান, তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত। পুজোর সপ্তাহে এখানকার স্লট দ্রুত ভরে যায়, তাই রিজার্ভেশন জরুরি। এখানকার নদিয়ার মাছ এবং ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নগুলি খুবই বিখ্যাত। বাঙালি খাবারে ভোজন পর্ব সম্পন্ন করতে হলে এটি অন্যতম সেরা বিকল্প হতে পারে।
১১১২
১০. ৪থ স্ট্রিট ডাইনিং হল: ঠিকানা- সেক্টর ৩। পুজো হপিংয়ের শেষে যদি বড় একটি দল নিয়ে একসঙ্গে বসে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তবে সেক্টর ৫ থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মাল্টিকুইজ়িন ডাইনিং হলটি সুবিধাজনক। এখানে সাধারণত বুফে বা মাল্টিকুইজ়িন স্প্রেডের ব্যবস্থা থাকে। বিভিন্ন অফার দেখে নিলে এটি তুলনামূলক ভাবে বাজেট-ফ্রেন্ডলিও হতে পারে। রাতের দিকে এখানে টেবিল পেতে সুবিধা হয়।
১২১২
ভিড়ের সময়ে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ডিনারের পরিকল্পনা থাকলে সোনার তরী, সপ্তপদী বা কাফিলা-র মতো জায়গাগুলিতে আগে থেকেই টেবিল বুক করে রাখলে ভোগান্তি এড়ানো যাবে। সল্টলেকের ঠাকুর দর্শনের ক্লান্তি শেষে পেট আর মন—দু’টোকেই শান্ত করার জন্য এই ঠিকানাগুলি মনে রাখলে আপনার উৎসবের আনন্দ থাকবে দ্বিগুণ। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।