এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
দুর্গাপুজোর ঢাকের আওয়াজ থেমে যেতেই বাঙালির ঘরে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়। মহালয়া থেকে বিজয়া, টানা একটা মস্ত পর্ব শেষ হল সবে। মন কেমন-করা এই আবহের মধ্যেই বাঙালির ঘরে ঘরে এখন আর এক আনন্দের প্রস্তুতি, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর।
০২১২
শান্ত, স্নিগ্ধ, কোজাগরী রাতের অপেক্ষা এখন শুধু। বাড়ি বাড়ি থেকে পাড়ার সমস্তটা জুড়ে চলছে প্রস্তুতি, আর রান্নাঘরে চলছে এক অন্য রকম ‘ভোগ’-এর উৎসব। পুজো মানেই তো পেটপুজো। আর লক্ষ্মীদেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য ভোগ নিবেদন একটা মস্ত অঙ্গ। শুধু ভক্তি নয়, এই ভোগ তৈরির মধ্যে লুকিয়ে থাকে ঘরোয়া উষ্ণতা আর আন্তরিকতা।
তার সঙ্গে লাবড়া, নানা সবজির মিশেলে তৈরি এই পদটি যেন ভোগের থালায় এক ধরনের সম্পূর্ণতা নিয়ে আসে।
০৫১২
খিচুড়ি, লাবড়ার সঙ্গে নৈবেদ্য দেওয়া হয়, পাঁচ রকমের ভাজার—বেগুন, আলু, পটল, কুমড়ো, ও কখন ফুলকপিও।
০৬১২
ভাজাভুজি শেষ হলে চলে আসে ফুলকপির তরকারি, যা এই সময়ের শীতের আগমনীর বার্তা দেয়।
০৭১২
মিষ্টিমুখ না হলে কি চলে? চালের পায়েস তো হয়ই, তবে অনেকে আবার ছানার বা খেজুর গুড়ের পায়েস বানিয়ে পরিবেশনে নতুনত্ব আনেন।
০৮১২
মিষ্টির এই পর্বকে আরও জমিয়ে তোলে নারকেলের নাড়ু।
০৯১২
এর পাশে অনিবার্য ভাবে থাকবে মুড়ির মোয়া আর মুড়কি, সঙ্গে নারকেল কোরা।
১০১২
আর সব শেষে টক-মিষ্টি স্বাদের টমেটো কিংবা আমসত্ত্বের চাটনি।
১১১২
অনেকের বাড়িতেই চালের ভোগ দেওয়ার রীতি নেই, তারা কিন্তু অন্য রকম ব্যবস্থা করেন। তাদের জন্য সুজি আর লুচি এক অসাধারণ বিকল্প। সব মিলিয়ে লক্ষ্মীপুজো শুধু ধন-সম্পদের প্রার্থনা নয়, এটি আসলে ঘরোয়া রসবোধ, ঐতিহ্য আর প্রিয়জনদের জন্য নিজের হাতে রান্না করার এক আবেগঘন মুহূর্ত।
১২১২
এ ছাড়া দেবী লক্ষ্মীর মাখানা অত্যম্ত প্রিয়, সেটিও অনেকে নৈবেদ্যতে রেখে থাকেন। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।) (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)