ছুটির গন্ধ আর পেটপুজো ছাড়া পুজো জমে নাকি? সেই আমেজকে আরও সুস্বাদু করে তুলতে রইল জমজমাট এক রেসিপি।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
মাছ বাঙালির আবেগ, বাঙালিয়ানার প্রাণ। তা সে যে মাছই হোক, ভাতের সঙ্গে তার যুগলবন্দি চিরন্তন। আর তার উপরে যদি হয় পুজোর মরশুম, তবে তো কথাই নেই। ছুটির আমেজ আর মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে জমাটি সুস্বাদ– সেই তো পুজোর চেনা ছবি!
০২১০
এ বার পুজোর ভোজে নতুনত্বের ছোঁয়া আনতে পারে এক অসাধারণ পদ– কাতলা মাছের রেজ়ালা। শারদীয় দুপুরে তার জমাটি সুস্বাদ মুখে লেগে থাকবে। বাড়িতে যদি অতিথি আপ্যায়নের ব্যাপার থাকে, তবে এই রেসিপিটি হতে পারে আপনার তুরুপের তাস।
০৩১০
রান্নার পদ্ধতি বেশ সহজ, তাই চিন্তার কিছু নেই। প্রথমেই মাছ ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তাতে সানরাইজ হলদি পাউডার এবং নুন মিশিয়ে নিতে হবে।
০৪১০
এর পরে তেল গরম করে মাছগুলো সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন খুব বেশি ভাজা না হয়, কারণ বাকিটা রান্না হবে ঝোলেই।
০৫১০
মাছ ভাজা হয়ে গেলে ওই তেলেই তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ আর সামান্য চিনি দিয়ে সুন্দর একটা গন্ধ বার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
০৬১০
তার পরে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, আর নুন দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে, যত ক্ষণ না মশলার কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
০৭১০
এ বার এতে লাল মির্চ পাউডার দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে।
০৮১০
এর পরে ঝোলের পালা। পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঝোল করে তাতে কাজু আর কিশমিশ মিশিয়ে দিন। এতে ধীরে ধীরে টক দই মিশিয়ে দিতে হবে। তাতেই আসবে রেজালা-র সেই মাখো মাখো সুস্বাদ।
০৯১০
সব শেষে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো সাবধানে ঝোলের মধ্যে দিয়ে হালকা আঁচে কিছু ক্ষণ রান্না করতে হবে, যাতে মাছের ভিতরে সব মশলার স্বাদ ঢুকে যায়।
১০১০
একদম শেষে শাহী গরম মশলা এবং সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মন-মাতানো কাতলা মাছের রেজ়ালা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।