বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে ভোটগ্রহণের দিন পিছিয়ে গেল। আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। কিন্তু সোমবার নির্বাচন কমিশন ফের ঘোষণা করে, ২৩ নয়, ভোট হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
এ দিন দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদাশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ওই অনুষ্ঠানে হুদা বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, এ বারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। কার্যক্ষেত্রে তেমনটাই হচ্ছে।এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অভিনন্দন জানাই। ঐক্যফ্রন্ট-সহ বিরোধী দলগুলো পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা দিনবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। ওই মনোনয়নপত্র বাছাই এবং প্রত্যাহারের বিষয়ে পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে টক্করে এ বার খালেদার পুত্রবধূ?
গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। তা বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ২২ নভেম্বর। ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: এখন মা খুব ভালবাসে, আত্মহত্যা করতে চাওয়া মেয়ের কথা শুনে জলে ভরে গেল মায়ের দু’চোখ
ওই ঘোষণার পরেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোট তার বিরোধিতা করে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কয়েক দিন আগে গঠিত বিএনপি-সহ বেশ কয়েকটি দলের মঞ্চ ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বললেও ভোটের নির্ঘণ্ট এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। রবিবার ঢাকা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জোটের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।
তিনি বলেছিলেন, “আমরা বর্তমান তফসিল বাতিল করে নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি করছি।’’ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ভোটের তারিখ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
আন্তর্জাতিক স্তরের বাছাই করা ঘটনাগুলো নিয়ে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy