কলকাতা থেকে যাচ্ছিলেন ঢাকা। কলকাতা বিমানবন্দরে রিভলভারের বুলেট-সহ ধরা পড়ে গেলেন ৭১ বছরের এক বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর দাবি, তিনি আওয়ামি লিগের এক তাবড় নেতার ঘনিষ্ঠ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার সেনা।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল ওই বৃদ্ধের। সঙ্গে ছিলেন অসুস্থ স্ত্রী এবং তাঁকে দেখভালের জন্য এক মহিলা। ওই বৃদ্ধের তিনটি বড় ব্যাগের মধ্যে একটিতে পাওয়া যায় ৩৬টি বুলেট। সব পয়েন্ট ৩২ বোর রিভলভারের।
বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদের ব্যাগ এক্স-রে করার দায়িত্বে আছেন এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারেন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ও অন্য মহিলাকে নিয়ে তিনি কলকাতায় আসেন। দক্ষিণ কলকাতায় বাইপাসের কাছে একটি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রীর কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার পরে দেখা যায়, স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সেই প্রতিস্থাপনের অনুকূল নয়। তাই তাঁরা ফিরে যাচ্ছিলেন। বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হলেও স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের ওই উড়ানেই স্ত্রী ও অন্য মহিলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকায়।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি ওই যাত্রী। যদিও বৃদ্ধের দাবি, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ থানা তাঁকে রিভলভারের লাইসেন্স দিয়েছে। কলকাতায় আসার সময়ে ব্যাগে বুলেট রয়ে যায়। তিনি খেয়াল করেননি। কলকাতা বিমানবন্দরের পুলিশের প্রশ্ন, ঢাকায় বুলেট-ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তিনি বিমানে উঠলেন কী ভাবে? সদুত্তর মেলেনি। সে-ক্ষেত্রে বিমান পরিবহণের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী যাত্রী-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটা বড় গাফিলতি বলে ধরে নেওয়া হবে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য একটি সূত্রের খবর, বাংলাদেশের শাসক মহলের ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী ওই বৃদ্ধ কলকাতা থেকেই বুলেট কিনে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। সে-ক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠতে পারে, লাইসেন্স ছাড়া তিনি বুলেট কিনলেন কী করে? আজ, মঙ্গলবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। এর মধ্যেই ঢাকা থেকে কোনও উড়ানে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স কলকাতায় নিয়ে আসার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy