আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মীরা।
১০ ঘণ্টা পরেও আগুনের গ্রাসে ঢাকার গুলশনের বাজারে। দমকল সূত্রের খবর, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের লাগে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসে নৌসেনাও। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশন ১ নম্বরে ভয়াবহ আগুনে পুরনো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) মার্কেটের দু’টি অংশ ধসে পড়ে। পুড়ে যায় শতাধিক দোকান। পুলিশ সূত্রে খবর, ধসে পড়া অংশে শাকসব্জির বাজার ও বেশ কিছু কাঁচামালের দোকান ছিল। অন্য অংশে এ দিন সকাল ১০ টায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। সেটিও ধসে পড়েছে।
আরও পড়ুন
বছর জুড়ে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ১২৪০ শ্রমিকের
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর সমর চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে দমকলকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দিন সকালে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ীদের ভিড়। অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে গিয়ে তাঁরা অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মেয়রর বক্তব্য, এটি দুর্ঘটনাই। ডিসিসি-র এই বাজারে প্রায় দেড় হাজার দোকান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ডিএনসিসি মার্কেটের অধিকাংশ দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেলেও পাশের গুলশন শপিং সেন্টার পর্যন্ত আগুন ছড়ায়নি। তবে ডিএনসিসি মার্কেট লাগোয়া গুলশন শপিং সেন্টারের কয়েকটি দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে। যদিও দমকল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, আগুন পাশের মার্কেটে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
তবে তাতেও কমছে না আশঙ্কা। আগুন যে কোনও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে এ আশংকায় গুলশন শপিং সেন্টারের প্রায় সব দোকানের জিনিসপত্র রাস্তায় নামিয়ে রাখা হয়েছে। খোলা জায়গায় রাখা এ সব দামি জিনিসপত্র খোয়া যাওয়া নিয়েও চিন্তিত দোকান মালিকরা। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে গুলশন শপিং সেন্টারের বিভিন্ন তলা থেকে জিনিসপত্রের কার্টন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের ওপর রাখা হচ্ছে। আর ভারী ও ভঙ্গুর জিনিসের কার্টনগুলো সাবধানে সিঁড়ি বেয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
কিন্তু, ফার্নিচার দোকান অধ্যুষিত গুলশন শপিং সেন্টারের বেশির ভাগ মালপত্রই গুলশন-১ গোলচত্বর ও আশপাশের সড়কে রাখা হয়েছে। দামি চেয়ার, টেবিল, খাট, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, আলমারি, ডাইনিং টেবিল, দরজা-জানালার পর্দা, ফোম, ম্যাট্রেস-সহ গৃহসজ্জার সরঞ্জাম রাস্তার মাঝে জড়ো করা হয়েছে। এ ছাড়া, শিশুখাদ্য, টিস্যু, কসমেটিক্স, ঝাড়বাতি, এসি, পোশাক, শো-পিস, ফিটিংস, পারফিউম, বিদেশি চকোলেট, তেলের কন্টেনার, জার, টেলিভিশন, মোবাইলের কার্টন-সহ দামি সামগ্রী রাস্তার উপর অবিন্যস্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy