ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে বলা হয় মিনি পার্লামেন্ট নির্বাচন। ভোটার পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। সোমবারের সেই টানটান নির্বাচনে যেন সংসদ নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি। সকাল থেকে উত্তেজনা, কারচুপির অভিযোগ, দুপুরেই সরকার-বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির নির্বাচন বর্জন এবং বিপুল জয়ের জন্য ছাত্র লিগের উৎসব পালন।
ডাকসু-র নির্বাচনকে বরাবর এড়িয়েই চলেছে শাসক দলগুলি। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে বরাবর এই ছাত্র নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছে সরকার-বিরোধী বলে পরিচিত নেতারা। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ— বরাবর তার নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ডাকসু-র নেতৃত্ব থেকে উঠে এসেছেন এক ঝাঁক জাতীয় নেতা। সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদ ছাত্রবিক্ষোভকে বিভক্ত করতে ১৯৯০-এ ডাকসু নির্বাচন করিয়েছিলেন। সেই শেষ বার। তার পরে পদ্মা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তাদের ছাত্র সংগঠন দখল নিয়েছে ডাকসু দফতর এবং ছাত্রাবাস কমিটিগুলির। অবশেষে আদালতের নির্দেশে সোমবার অনুষ্ঠিত হল ডাকসু-র নির্বাচন।
এ দিন সকাল ৮টা থেকে ১৮টি ছাত্রাবাস বা হল-এ ভোট শুরু হয়। বিপত্তি বাধে কুয়েত মৈত্রী হলে। ভোট শুরুর আগেই বেশ কিছু ব্যালটে ছাপ্পা মেরে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। গন্ডগোল হয় রোকেয়া হলেও। বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধার, ব্যালট পেপার চুরি-সহ নানা অভিযোগ তুলেছে সরকার-বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি, শাসক দলের নেতারা যাকে বলছেন নেহাত গুজব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy