রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল বাংলাদেশ হাইকোর্ট

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রাখল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। এ ছাড়া একজনের যাবজ্জীবন ও পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজাও বহাল রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ও ব্লগার রাজীবকে ঢাকার পল্লবীতে তাঁর বাড়ির সামনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে। ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।

আরও পড়ুন: পারমাণবিক বন্ধনে ভারত-বাংলাদেশ-রাশিয়া

আদালতের রায়ে মাকসুর হাসান অনীককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দীন রাহমানীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ রায়ের পর মামলার নথি গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। চলতি বছর ৯ জানুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সে দিনই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতির আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা করে। বাংলা ভাষাতেই রায় পড়েন বিচারকরা।