০২ মে ২০২৪
Inspire Inclusion

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরস্কৃত এ যুগের কৃতী নারীরা

এসএনইউ-এর সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের ছাত্রী ময়ূরী রায় তাঁর ছবি তোলার দক্ষতায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। মাত্র তিন মাস বয়সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন ময়ূরী।

‘ইন্সপায়ার ইনক্লুশন’

‘ইন্সপায়ার ইনক্লুশন’

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৬
Share: Save:

৮ মার্চ ২০২৪, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম ছিল ‘ইন্সপায়ার ইনক্লুশন’। সে দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে সর্বাধিক যোগ্য, প্রতিবন্ধী তিন ছাত্রী, যাঁরা নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে নজির গড়েছেন, তাঁদের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে।

এসএনইউ-এর সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের ছাত্রী ময়ূরী রায় তাঁর ছবি তোলার দক্ষতায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। মাত্র তিন মাস বয়সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন ময়ূরী।

ময়ূরী রায়

আর্থিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেও পর্যায়ক্রমে সময় মতো রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত করতে তাঁর বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করেন। ৭ বছর বয়সে, ভেলোরে এক ব্যয়বহুল স্প্লেনেক্টমি অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বাঁচার ক্ষীণ আশা নিয়ে ময়ূরী বুঝতে পেরেছিলেন তিনি ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন। তাই সেটাই নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পেশা হিসাবে বেছে নেন তিনি।

সন্দীপা জানা জন্মগত ভাবেই অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্ট ভঙ্গুর হাড়ের রোগে আক্রান্ত।

মাত্র তিন বছর বয়স থেকে চিকিৎসার ঘূর্ণিঝড় এবং মারাত্মক অসুস্থতার মধ্যেও সন্দীপা নিজের অদম্য জেদ অটুট রেখেছিল। শারীরিক সীমাবদ্ধতা এবং অসংখ্য অস্ত্রোপচার সত্ত্বেও পড়াশোনার প্রতি তাঁর উদ্যম বা ইচ্ছায় কখনও ভাটা পড়েনি।

সন্দীপা জানা

এই পথে সন্দীপার যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। তবু প্রতি বার ধারাবাহিক ভাবে ক্লাসে প্রথম হওয়া থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৯ শতাংশ নম্বর। বর্তমানে সন্দীপা সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টেক (কম্পিউটার সায়েন্স) চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী।

অনুষ্কা সরকার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টেক (কম্পিউটার সায়েন্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। খর্বাকৃতি চেহারার কারণে নানা সামাজিক বঞ্চনার স্বীকার এবং ব্যঙ্গ-রসিকতার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। যদিও নানা বাধা পেরিয়ে তাঁর জীবনে সুযোগের এক নতুন দরজা খুলে যায়। অমসৃণ পথের প্রতি পদক্ষেপে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও আত্মবিশ্বাসে ভর করে সব বাধাকে ছিন্ন করে এগিয়ে গিয়েছেন। পাশে ছিলেন তাঁর বাবা-মা, পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বন্ধুরা।

অনুষ্কা সরকার

এই তিন কন্যাকে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করেন বিশিষ্ট জনেরা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন এসএনইউ-এর উপাচার্য, অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, কেয়ারিং মাইন্ডসের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ড.মিনু বুধিয়া, মনোবিকাশ কেন্দ্রের ট্রাস্টি চেয়ারপার্সন, অধ্যাপক অনুরাধা লোহিয়া, ঋতম কমিউনিকেশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রীতা ভিমানি, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট।

ইনস্টিটিউট কলকাতার ডিরেক্টর প্রফেসর মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএনইউ-এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ডিরেক্টর ইনা বোস, এসএনইউ-এর আচার্যের ওএসডি প্রদ্যুৎকুমার বিশ্বাস, এসএনইউ-এর সিএফও সুবীর রক্ষিত, সিএফও এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কর্মকর্তারা।


এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE