গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
দেশ থেকে আদানি গোষ্ঠীর টাকা মরিশাসে পাচার হয়েছিল। আবার তা ঘুরপথে ফিরে এসে দেশে গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারেই লগ্নি হয়। ফলে সেগুলির দাম ফুলেফেঁপে ওঠে। ওসিসিআরপি-র তোলা নতুন এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির ভূমিকা। কারণ, বিরোধীদের দাবি, সেবির কাছে এই অনিয়মের তথ্য ছিল। তারা তদন্তও করছিল। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই তা ধামাচাপা পড়ে। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইট) লেখেন, পুরনো একটি
চিঠিতে স্পষ্ট ২০১৪ থেকে সেবি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা জানত। কিন্তু সেবির তৎকালীন চেয়ারম্যান এখন আদানিদের সংস্থা এনডিটিভির স্বাধীন ডিরেক্টর। তাঁর তোপ, ‘‘এই যোগসাজশই ভারতকে বিক্রি করে দিচ্ছে।’’
এ দিন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি বেণুগোপাল এক্স-এ সেই চিঠি তুলে ধরেন। সেটি ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন সেবি চেয়ারম্যান ইউকে সিন্হাকে পাঠিয়েছে রাজস্ব সংক্রান্ত তদন্তকারী ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। আরব আমিরশাহি থেকে আদানি গোষ্ঠীর আমদানি করা কিছু পণ্যের বেশি মূল্যায়নের কথা লেখা আছে সেখানে। বলা হয়েছে, ভারত থেকে দুবাই হয়ে মরিশাসে তাদের ৬২৭৮ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। সিন্হা যেন তা দেখেন। বেণুগোপালের দাবি, ওই বছর ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। ধামাচাপা পড়ে আদানিদের নিয়ে সেবির তদন্ত। ২০১৭ সালে সিন্হা আদানিদের ‘ক্লিন চিট’ দেন। সিন্হাই এখন এনডিটিভির স্বাধীন ডিরেক্টর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy