—ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লি, ২১ নভেম্বর: অগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর। তিন মাস পার। এর মধ্যে কেন্দ্রের কাছে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২০০ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জানালেন, বকেয়া দাবি করে শীঘ্রই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখবেন তিনি। প্রসঙ্গত, বুধবারই এই বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন পাঁচ বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। অমিতবাবুর দাবি, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনাগণ্ডা না পেয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও ক্ষুব্ধ।
বিলাসবহুল পণ্য এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর পণ্যের সেস থেকে রাজ্যগুলির রাজস্ব লোকসান মেটায় কেন্দ্র। কিন্তু অর্থনীতির ঝিমুনিতে বাজারে কেনাকাটা কমেছে। ফলে জিএসটি থেকে আয় কমেছে কেন্দ্রের। কমেছে সেস সংগ্রহও। যে কারণে অগস্ট-সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ এখনও রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দিতে পারেনি কেন্দ্র। গত বছর যা অক্টোবরেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অমিতবাবুর কথায়, ‘‘কেন টাকা দিচ্ছে না, তার কোনও স্পষ্ট কারণ কেন্দ্র জানায়নি। অথচ রাজ্যগুলিকে ওই লোকসান মিটিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে কেন্দ্র সাংবিধানিক ভাবে দায়বদ্ধ।’’ কয়েকটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের আশঙ্কা, আগামী দিনে কেন্দ্র সেই দায় অস্বীকার করার পথে হাঁটবে না তো!
অমিতবাবুর অভিযোগ, অর্থনীতির এই পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী নোটবন্দি এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়া তড়িঘড়ি জিএসটি রূপায়ণ। তাঁর কথায়, ‘‘নোট বাতিল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য হারিকিরি ছিল।’’ তাঁর মতে, কালো টাকা রুখতে ২০১৬ সালে নোট বাতিল করা হলেও, পরের বছরে কালো টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। আবার জিএসটির মাধ্যমে কেন্দ্র কর ফাঁকি রোখার দাবি
করলেও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদে জানিয়েছেন, জিএসটিতে মোট ৪৪,০০০ কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। এ দিন লোকসভার জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘অর্থনীতির ঝিমুনির কথা সরকার মানতে রাজি নয়। পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ধর্মীয় সমস্যা ও উগ্র জাতীয়তাবাদ নিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy