আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে কমেছে আর্থিক বৃদ্ধি। চাহিদা কমেছে দেশের বাজারেও। এই পরিস্থিতিতে ভিন্ দেশি সংস্থাগুলিকে আশ্বস্ত করতে নতুন বিদেশি লগ্নি আইন পাশ করল চিনের পার্লামেন্ট। লক্ষ্য, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়িয়ে বৃদ্ধিকে পোক্ত ও স্থিতিশীল করা। প্রিমিয়ার লি খ্যছিয়াং জানিয়েছেন, মেধাস্বত্ব ও প্রযুক্তি নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে নতুন আইনে। যেগুলি নিয়ে চিন সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে বিদেশি সংস্থাগুলির। দেওয়া হবে কর ছাড়ের মতো নানা সুবিধাও। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে।
আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার বাধ্যবাধকতা থেকেই কি এই পদক্ষেপ? খ্যছিয়াং তা মানতে চাননি। তবে দেশের বাজারে চাহিদা ফিরিয়ে আর্থিক বৃদ্ধির গতি আরও শ্লথ হওয়া থেকে আটকাতেই যে এই উদ্যোগ, তা স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, চিনে ছোট-মাঝারি-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি সংস্থা রয়েছে। কর ছাড়ের ফলে তাদেরও সুবিধা হবে। এই পথেই আগামী দিনে শহরগুলিতে প্রায় ১.১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চিন।
বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে গত বছর থেকেই চিনের উপরে চাপ তৈরি করছে আমেরিকা। প্রায় ২৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। চিনও পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছে ১১,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের উপরে। এই বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে সারা বিশ্বের বৃদ্ধির হার কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চিনের আর্থিক বৃদ্ধিও গত বছর কমে হয়েছে ৬.৬%। এ বছর তা ৬-৬.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বেজিং।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
খ্যছিয়াং অবশ্য জানিয়েছেন, নগদের জোগান বাড়িয়ে বাজারকে উৎসাহিত করার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না তাঁরা। বরং কর ছাঁটাই, নিয়ন্ত্রক বিধি সরল করার মতো পদক্ষেপ করে লগ্নিকে উৎসাহিত করাই তাঁদের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy