—প্রতীকী চিত্র।
আমদানি খরচ এবং দূষণ কমাতে দেশে বিকল্প জ্বালানির উৎপাদনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ওএনজিসির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা যাতে অশোধিত তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে পারে, গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সে দিকেও। এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানাল, এই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে সারা বিশ্বে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। ২০২৩ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দৈনিক চাহিদা বাড়বে ১৩ লক্ষ ব্যারেল। তেলের ব্যবহার এবং আমদানির নিরিখে এখন চিন এবং আমেরিকার পরেই ভারতের স্থান।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে এ দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড ক্রমাগত বাড়ছে। রাস্তায় গাড়ির চাপও যে ক্রমবর্ধমান তা শিল্পের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। ফলে জ্বালানির বর্ধিত চাহিদার একাংশ বিকল্প জ্বালানি দিয়ে পূরণ করা গেলেও সমান্তরাল ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিও অবশ্যম্ভাবী। ফলে আমদানি খরচের উপরে চাপ থাকবেই। তেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই হরদীপ সিংহ পুরি জানিয়েছেন, জ্বালানির বর্ধিত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে রাশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার।
জ্বালানি ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতের দৈনিক তেলের চাহিদা ছিল ৫৪ লক্ষ ব্যারেল। ২০৩০ সালের তা ৬৭ লক্ষে পৌঁছতে চলেছে। জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধির এই হার চিনের তুলনায় বেশি। আইইএ বলেছে, ‘‘বর্ধিত চাহিদার বড় অংশ জুড়ে থাকবে পরিবহণ ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় জীবাশ্ম জ্বালানি। দূষণহীন জ্বালানিতে আগ্রহ বাড়লেও জীবাশ্ম জ্বালানির থেকে তা পিছিয়েই থাকবে। দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বের জ্বালানির বর্ধিত চাহিদার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে চলেছে ভারত।’’ সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত সম্প্রতি চিনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আর্থিক অগ্রগতিও হচ্ছে দ্রুত। গড় আয় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা। ২০০০ সালে ভারতে যা গাড়ি ছিল ২০২৩ সালে হয়েছে তার আট গুণ। বাড়ছে কল-কারখানার কর্মকাণ্ডও। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়বে তেলের চাহিদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy