Advertisement
E-Paper

বৈদ্যুতিক গাড়ির ঝোঁক দেখেই লগ্নি বাড়াচ্ছে এথার

বাজারে জল্পনা, আরও একটি কারখানা গড়তে গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যের কথা বিবেচনা করছে এথার। সংস্থা কর্তাদের দাবি, সেটিতে বছরে ১০ লক্ষ গাড়ি তৈরির লক্ষ্য।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০৯
প্রথমে ছোট মাপের কারখানা গড়ার পরে বড় পরিকল্পনা নিয়ে তামিলনাড়ুতে পা রাখে এথার।

প্রথমে ছোট মাপের কারখানা গড়ার পরে বড় পরিকল্পনা নিয়ে তামিলনাড়ুতে পা রাখে এথার। প্রতীকী ছবি।

পরিবহণ জ্বালানির দাম আগুন। এই পরিস্থিতিতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিশেষত দু’চাকাগুলির চাহিদা বাড়ছে বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কয়েকটিতে আগুন লাগার ঘটনায় বাজারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এতে ওই সব গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খাবে কি না, তাই নিয়ে জল্পনা এবং সংশয় চড়ছে। তার মধ্যেই তামিলনাড়ুর হোসুরে তাঁদের দ্বিতীয় কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বৈদ্যুতিক স্কুটার নির্মাতা এথার এনার্জির কর্তাদের দাবি, ক্রেতার আগ্রহে ভাটা পড়ার প্রশ্নই নেই। শিল্প মহল যেমন গাড়ি ও তার যন্ত্রাংশ তৈরির সময় সেগুলির মান আরও উন্নত করার ব্যবস্থা করছে, তেমন ক্রেতারাও সচেতন হচ্ছেন। তাই বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। আগামী দিনে আরও বিক্রি বৃদ্ধির আশায় হোসুরের থেকেও প্রায় আড়াই গুণ বড় আরও একটি কারখানা তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। বছর শেষের আগেই গন্তব্য চূড়ান্ত হওয়ার আশা।

বাজারে জল্পনা, আরও একটি কারখানা গড়তে গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যের কথা বিবেচনা করছে এথার। সংস্থা কর্তাদের দাবি, সেটিতে বছরে ১০ লক্ষ গাড়ি তৈরির লক্ষ্য। ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। বাকিটা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপর। ব্যবসা বাড়াতে মার্চের মধ্যে ১০০ টি শহরে ১৫০ টি শো-রুমও খুলতে চায় সংস্থাটি।

২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় প্রথমে ছোট মাপের কারখানা গড়ার পরে বড় পরিকল্পনা নিয়ে তামিলনাড়ুতে পা রাখে এথার। পাঁচ বছরে ৬৫০ কোটি টাকা লগ্নির আশ্বাস দেয়। হোসুরের বেসরকারি শিল্প পার্কে ২০২০ সালে প্রথম ও সম্প্রতি দ্বিতীয় কারখানাটি গড়তে এখনও পর্যন্ত তারা ৩২০ কোটি ঢেলেছে। দ্বিতীয়টির উদ্বোধনে এসে সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা চিফ টেকনোলজি অফিসার স্বপ্নিল জৈন এবং চিফ বিজ়নেস অফিসার রভনিৎ সিংহ ফোকেলা জানান, নতুন কারখানায় বছরে ৪.২০ লক্ষ ই-স্কুটার তৈরি হওয়ার কথা। পুরনোটিতে বছরে ৪.৩০ লক্ষ ব্যাটারি তৈরি হবে। এখন প্রায় ৫০% ব্যাটারি তৈরি হচ্ছে। শুরু হয়েছে ৫০% গাড়ি তৈরির কাজও। তাঁদের আশা, মার্চের মধ্যে তা ৬৫-৭০ শতাংশে পৌঁছবে। আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা ছোঁয়া সম্ভব হবে। তার মধ্যেই তৃতীয় কারখানাটি গড়তে চান তাঁরা।

বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা প্রসঙ্গে স্বপ্নিলের দাবি, ‘‘ক্রেতারা যেমন সচেতন হচ্ছেন, তেমন সংস্থাগুলিও উন্নত মানের গাড়ি তৈরিতে আরও জোর দিচ্ছে। আমরা নিয়ম মেনে এবং সুরক্ষার কথা মাথায়ই রেখে গাড়ি তৈরি করি। গোটা প্রক্রিয়ায় ১৫০০টি কড়া মাপকাঠিতে পরীক্ষা পর্ব চলে।’’

কারখানাটির প্রধান কর্তা সঞ্জীব সিংহ জানান, আগে তাঁরা ছ’মিনিটে একটি গাড়ি তৈরি করতেন। এখন ৪০ সেকেন্ড লাগে। রভনিৎ জানান, গত বছরের অক্টোবরে দু’চাকার বাজারের ৫.৫% ছিল বৈদ্যুতিক। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৫-১৬%।

Electronic car India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy