(বাঁদিকে) সঞ্জীব গোয়েন্কা এবং লোকেশ রাহুল। — ফাইল চিত্র।
কথায় বলে, শেষ ভাল যার সব ভাল। লখনউ সুপার জায়ান্টস পরিবারেও সুখের ছবি আইপিএল শেষে। প্লে-অফে উঠতে পারেননি লোকেশ রাহুলেরা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জিতেও লাভ হয়নি। তবু দলের পারফরম্যান্সে খুশি কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কা। শেষ ম্যাচের পর অধিনায়ক রাহুলকে পাশে নিয়ে ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানালেন কলকাতার শিল্পপতি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারের পর মাঠে সকলের সামনে অধিনায়ক রাহুলের কাছে খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন গোয়েন্কা। সেই ঘটনার পর ‘অপমানিত’ রাহুল লখনউয়ের নেতৃত্বে ইস্তফা দিতে পারেন বলেও শোনা গিয়েছিল। তাঁর সেই আচরণ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। তীব্র সমালোচনার মুখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লখনউ কর্তৃপক্ষ। চেষ্টা করেছেন গোয়েন্কা নিজেও। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন দিল্লির বাড়িতে রাহুলকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করে সব কিছু সহজ করে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন লখনউ কর্ণধার।
সব রকম চেষ্টার পরেও গোয়েন্কা-রাহুল সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলছিলই। তাই আইপিএলের শেষ বেলাতেও দলের সকলকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন গোয়েন্কা। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দলের জয় এবং রাহুলের ব্যাটে অর্ধশতরানের ইনিংস দেখে খুশি ছিলেন লখনউ কর্ণধার। এ বারের মতো আইপিএল শেষ হওয়ার পর সাজঘরে দলের সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় পাশে ডেকে নেন রাহুলকে। ছিলেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। গোয়েন্কা বলেন, ‘‘আমরা এ বার কিছু আনন্দের মুহূর্ত পেয়েছি। আবার কয়েকটা মুহূর্ত আমাদের হতাশ করেছে। প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি যাই হয়ে থাকুক, সেটা হয়েছে গোটা দলের।’’ রাহুলের মুখেও শোনা গিয়েছে দলীয় একতা, সংহতির কথা। বক্তব্যের শেষে দলের সকলকে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা এবং এ বারের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি গোয়েন্কা। সুখী পরিবারের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন লখনউ কর্তৃপক্ষ।
এ বারের আইপিএলে ১৪টি ম্যাচ খেলে সাতটি ম্যাচ জিতেছে লখনউ। হেরেছেও সাতটি ম্যাচ। ১৪ পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটের নিরিখে প্লে-অফে উঠতে পারেননি রাহুলেরা। লখনউ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪টি ম্যাচে ৫২০ রান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy