চন্দ্রশেখর ঘোষ
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে গোড়া থেকেই কথা ছিল, ব্যাঙ্ক চালুর তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে নথিভুক্তির। সেই অনুযায়ী, সম্ভবত চলতি অর্থবর্ষেই প্রায় ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজারে প্রথম বার পা (আইপিও) রাখতে চলেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। এ জন্য বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির কাছে খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে তারা। কলকাতা-ভিত্তিক ব্যাঙ্কটির দাবি, এর ফলে তাদের ১০% শেয়ার যাবে সাধারণ লগ্নিকারীদের হাতে।
ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘আশা করি চলতি অর্থবর্ষেই বাজারে আসবে আমাদের শেয়ার। প্রতিটির মূল দাম হবে ১০ টাকা। কিন্তু প্রিমিয়াম-সমেত কত টাকায় তা ছাড়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আইপিও থেকে কত টাকা ঘরে আসবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’
বাজারে পা রাখতে গিয়ে প্রথমেই প্রায় ১১.৯৩ কোটি শেয়ার ছাড়বে বন্ধন ব্যাঙ্ক। এর মধ্যে নতুন শেয়ার প্রায় ৯.৭৭ কোটি। বাকি শেয়ার বিক্রি করবে বন্ধন ব্যাঙ্কের অন্যতম দুই শেয়ারহোল্ডার আইএফসি এবং আইএফসি-ফিগ। যৌথ ভাবে ওই দুই সংস্থার হাতে ৪.৯৪% শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ১.৮২% বেচবে তারা। যত শেয়ার ছাড়া হবে, তার অন্তত ৩৫% যাবে সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের হাতে। শেয়ারের দাম নির্ধারিত হবে ‘বুক বিল্ডিং’ পদ্ধতিতেই।
এই মুহূর্তে বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণ ও মূলধনের অনুপাত (ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও) ২৬.২৬%। বাসেল-৩ নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাঙ্কে তা হতে হবে কমপক্ষে ১৩%। কিন্তু তা হলে মূলধন সংগ্রহের জন্য এখনই শেয়ার ছাড়ার সিন্ধান্ত কেন?
চন্দ্রশেখরবাবুর কথায়, ‘‘প্রথমত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী চালুর তিন বছরের মধ্যে ব্যাঙ্ককে বাজারে শেয়ার ছাড়তেই হবে। আমাদের ব্যাঙ্ক চালু হয় ২০১৫ সালের ২৩ অগস্ট। সুতরাং সেই বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা ছাড়া, ভবিষ্যতের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে চাইছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy