গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে ঋণ দেওয়ার (কনসের্টিয়াম লেন্ডিং) সমস্যার কথা এ বার ব্যাঙ্কিং শিল্পের মুখে।
দিন কয়েক আগে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছিলেন, কয়েকটি ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে ঋণ দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। কখনও ঋণ দিতে দেরি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার অনুৎপাদক সম্পদের মোকাবিলার জন্য চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। গোষ্ঠী যদি দু’তিনটি ব্যাঙ্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তা হলে সমস্যা কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে একাধিক বিশেষজ্ঞও মুখ খুলেছেন।
কিংফিশার এয়ারকে যে ঋণদাতা গোষ্ঠী ধার দিয়েছিল, তার প্রধান শরিক ছিল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। তার প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন বলেন, ‘‘কিংফিশারকে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি ঘোষণার আর্জি নিয়ে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ককে প্রথমে একাই আদালতে যেতে হয়েছিল।’’ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ব্যাঙ্কিং কমিটির চেয়ারম্যান অতনু সেন জানান, যৌথ ভাবে ঋণ দেওয়ায় নতুন একটি ব্যবস্থা করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ। এই ব্যবস্থায় আইবিএ-র ঠিক করে দেওয়া শর্ত মেনে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে চুক্তির সংস্থান থাকবে। তাতে কমতে পারে সমস্যা।
সুবিধা
• ঋণের অঙ্ক এবং ঝুঁকি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।
• বড় সংস্থাকে ধার দেওয়ায় শরিক হতে পারে ছোট ব্যাঙ্কও।
মাথাব্যথা
• ব্যাঙ্কের সংখ্যা খুব বেশি হলে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ে সমস্যা হয়। এমনকি দেরি হয় ঋণ দেওয়াতেও।
• অনাদায়ি ঋণ উদ্ধারে সমস্যা একমত হওয়ার ক্ষেত্রে।যেমন—
• পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করায়।
• অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারে কতটা ধার মকুব হবে, তার হিসেবে।
• খেলাপির বিরুদ্ধে আদালত বা এনসিএলটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে।
• এই সমস্ত কারণে দেরি হওয়ায় কমে বন্ধকী সম্পদের বাজার দর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy