দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে চালু হয়েছে ৪জি স্পেকট্রাম নির্ভর পরিষেবা। গত তিন মাসে যোগ দিয়েছেন ৬০ লক্ষ নতুন গ্রাহক। গত দু’বছর ধরে হচ্ছে কার্যকরী মুনাফা। তবে কি খারাপ সময়কে স্থায়ী ভাবে পিছনে ফেলতে পারল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল? কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অন্তত এ ব্যাপারে আশাবাদী।
সম্প্রতি সিন্ধিয়া দাবি করেছেন, প্রত্যেক মাসে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএসএনএল। গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি কার্যকরী মুনাফার মুখ দেখেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি মাসুল বৃদ্ধি করলেও বিএসএনএলের সেই পথে না হাঁটা এই উন্নতির অন্যতম কারণ। অথচ এই পর্যায়ের আগে টানা ১২ বছর ক্ষতি হয়েছে সংস্থাটির।
মন্ত্রীর কথায়, ‘‘বিএসএনএলকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে কেন্দ্র ৮৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি মঞ্জুর করেছিল। সেই আর্থিক সহায়তায় ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা চালুর কাজ অনেকটাই হয়েছে। তার পর ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয়।’’ একইসঙ্গে সংস্থাটির নেটওয়ার্কেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। সিন্ধিয়ার কথায়, ‘‘দেশের প্রত্যন্ততম এলাকায় একমাত্র বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। এই সুবিধাকে মূলধন করে ৪জি ও ৫জি পরিষেবা নিয়ে আরও এগোনোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ উল্লেখ্য, টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে দেশে একমাত্র বিএসএনএল ৩০ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত করতে পেরেছে। বাকি সব সংস্থাই গ্রাহক হারিয়েছে।
সূত্রের খবর, শুধু জুলাই নয়, অগস্ট থেকে অক্টোবরের এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক গ্রাহক বিএসএনএলে যোগ দিয়েছেন। সংস্থার কলকাতা সার্কলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের সার্কেলে প্রতি মাসে লক্ষাধিক নতুন সংযোগ দিচ্ছি। এই প্রবণতা ধরে রাখতে পারলে চলতি অর্থবর্ষের শেষে সংস্থার মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি বাড়বে।’’ ট্রাইয়ের তথ্য, গত জুলাই পর্যন্ত সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা ৮.৯ কোটি। বছর শেষে তা ১১ কোটি ছোঁবে বলে আশাবাদী ওই কর্তা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)