—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চাশের দশকে রফতানি বাজারে ভারতীয় চায়ের অংশীদারি ছিল প্রায় ৪২%। এখন ১২.৪%। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) বার্ষিক সভায় শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েই রফতানি বাড়াতে চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধির বার্তা দিলেন অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব অমরদীপ সিং ভাটিয়া।
নেটে সভায় যোগ দিয়ে অমরদীপ বলেন, ‘‘বাগানে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ে বিদেশ থেকে আপত্তিকর রিপোর্ট আসছে। চায়ের মান না বাড়লে সব ক্ষেত্রে রফতানির শর্ত পূরণ হবে না।’’ দেশীয় বাজারেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কোন কীটনাশক কতটা ব্যবহার করা যায়, তা জানায় খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই। কিন্তু কিছু বাগানে তার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
চা শিল্পের সঙ্গে মিলে উন্নয়নের পথে হাঁটার বার্তাও দিয়েছেন সচিব। জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা শিথিল করে টি বোর্ডকে শিল্প-সহায়কের ভূমিকা দিতে আইন সংশোধন করবে কেন্দ্র। ঢেলে সাজানো হবে ভর্তুকি প্রকল্প। টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ির বার্তা, চাহিদা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা তৈরির জন্য স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে শামিল করুক শিল্প। কারণ, তাদের অনেকেই নতুন কিছু ভাবতে পারে।
শিল্পের দাবি, নিলামে চায়ের দাম কম উঠছে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কাছে এ দিন ফের ন্যূনতম দর বাঁধার আর্জি জানান আইটিএ-র বিদায়ী চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরি। বাড়তি জোগানে রাশ টানতে আমদানি চায়ে শুল্ক বসানো, অর্থোডক্স চায়ে ফের আর্থিক সুবিধা (দার্জিলিং চায়ে বেশি) বণ্টন, টি বোর্ডের কাছে প্রাপ্য বকেয়া ভর্তুকি দ্রুত বিলির আবেদনও জানান। সভা শেষের মুখে প্রবীণ শিল্পকর্তা সি কে ধানুকা কেন্দ্র ও টি বোর্ড শিল্পের আর্জিতে কান দিচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব স্মারকি মহাপাত্রের আশ্বাস, মাস ছয়েকে চা বাগান পরিচালনার ক্ষেত্রে নেটে প্রশাসনিক কাজ চালু হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy