E-Paper

ব্যাঙ্ক কড়া শুধু সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রেই!

সংগঠনগুলির বক্তব্য, সাধারণ ঋণগ্রহীতাকে না-খেয়েও মাসে মাসে ঋণ শোধের কিস্তি জমা দিতে হয়। বাকি ফেললে হেনস্থা জোটে কপালে। তার উপর এই জরিমানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২৫
An image of bank

—প্রতীকী চিত্র।

দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে বড় সংস্থাকে সুবিধা দিয়ে সাধারণ গ্রাহকের স্বার্থহানির অভিযোগ তুলল ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন শিল্পের সংগঠনগুলির যৌথ নাগরিক মঞ্চ ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও
দেশ বাঁচাও’।

তাদের দাবি, বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার শোধ না করা লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছে ফেলেছে। অথচ সাধারণ গ্রাহকেরা পরিষেবা নিতে গিয়ে সামান্য ভুল-ত্রুটি করে ফেললে কিংবা অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা জমা না রাখলে চড়া হারে জরিমানার টাকা আদায় করছে তারা। ফলে খাদ্য-সহ বিভিন্ন পণ্যের চড়া দামে হিমশিম স্বল্প বা সাধারণ রোজগেরে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সমস্যা বাড়ছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে ওই নাগরিক মঞ্চ। এটিএমের মতো বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য চার্জ আদায় করার নীতি বদলেরও দাবি তুলেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা না রাখার জন্য জরিমানার পাশাপাশি এটিএমে অতিরিক্ত লেনদেন, ফোনে এসএমএসের বার্তা পাঠানো-সহ বিভিন্ন পরিষেবার খাতে গত পাঁচ বছরে সাধারণ ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তুলেছে ব্যাঙ্কগুলি। অথচ শুধু গত অর্থবর্ষেই বিভিন্ন বড় কর্পোরেটের মোট ২.০৯ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছে দিয়েছে। তিন বছরে মুছেছে ৫,৮৬,৮৯১ কোটি। এর মাত্র ১৮.৬০% পাওয়া গিয়েছে।

সংগঠনগুলির বক্তব্য, সাধারণ ঋণগ্রহীতাকে না-খেয়েও মাসে মাসে ঋণ শোধের কিস্তি জমা দিতে হয়। বাকি ফেললে হেনস্থা জোটে কপালে। তার উপর এই জরিমানা। মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক সৌম্য দত্ত এবং বিশ্বরঞ্জন রায় বলেন, “আসলে হিসাবের খাতা থেকে বড় শিল্পপতি বা কর্পোরেটের অনাদায়ি ঋণ মুছে ফেলায় যে ক্ষতি হচ্ছে, তার একাংশ পুষিয়ে নিতেই নানা অছিলায় গ্রাহকদের থেকে টাকা তুলছে ব্যাঙ্কগুলি। এই বৈষম্যমূলক অবস্থান বদলাতে হবে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবার খরচ কমানোও জরুরি। সেই লক্ষ্যেই নীতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছি সীতারামনের কাছে।’’

ব্যাঙ্কগুলির অবশ্য দাবি, পরিষেবার উন্নতির জন্য তথ্যপ্রযুক্তির পিছনে খরচ বেড়েছে তাদের। তাই বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার ফি-ও আদায় করতে বা বাড়াতে হচ্ছে। সৌম্যর ক্ষোভ, ‘‘খরচ বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু সব খরচের বোঝা সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপবে কেন? ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিতে গিয়ে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। সে সব ক্ষেত্রে খুব কম সময়ই তাঁদের পাশে ব্যাঙ্কগুলিকে দাঁড়াতে দেখা যায়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Banks Bank Loans Customers

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy